TRENDING:

Suvendu Adhikari: রাজ্যে শিল্প নিয়ে বামেদের পাশাপাশি মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

Last Updated:

এবার শুভেন্দুর নিশানায় শিল্প। রাজ্যে যে সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি শিল্প সংস্থা আছে, সেই সমস্ত শিল্প সংস্থাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোলাবাজির বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাস-সহ নানা ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগের বোমা ফাটিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ এবার শুভেন্দুর নিশানায় শিল্প। রাজ্যে যে সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি শিল্প সংস্থা আছে, সেই সমস্ত শিল্প সংস্থাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোলাবাজির বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কল্যাণীর একটি তেল কোম্পানির কর্তৃপক্ষকেও হুঁশিয়ারির সুরে 'সাবধান' করলেন শুভেন্দু
কল্যাণীর একটি তেল কোম্পানির কর্তৃপক্ষকেও হুঁশিয়ারির সুরে 'সাবধান' করলেন শুভেন্দু
advertisement

তাঁর গুরুতর অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রীয় শিল্প সংস্থায় অস্থায়ী সাপ্লাই লেবার নিয়োগের ক্ষেত্রেও তৃণমূল নেতারা দেড় থেকে দু’লক্ষ টাকা করে শ্রমিকদের কাছ থেকে তোলা আদায় করছে। চুরি, দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূলের কাছে বিকল্প কোনও পথ নেই।’’ বাম জমানায় জঙ্গি আন্দোলনের নামে সিপিআইএমের শ্রমিক সংগঠন সিটুকে কাঠগড়ায় তুলে শুভেন্দু দাবি, ‘‘বাম জমানায় ৮০ শতাংশ কারখানায় জঙ্গি আন্দোলন করে তালা লাগিয়ে দিয়ে শিল্পকে ধ্বংস করা হয়েছে। আর বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল জমানায় নতুন কোনও শিল্প তো আসেই নিই। উল্টে বাংলায় সর্বত্র শিল্প শ্মশানে পরিণত হয়েছে।’’

advertisement

আরও পড়ুন- গাড়ি তো নয়, যেন খাঁটি লোহা! পারিবারিক ছুটিতে যাওয়ার জন্য একেবারে আদর্শ টাটার এই চারচাকা

বিজেপি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সংঘের নদিয়া জেলার ডাকে কল্যাণী শিল্পাঞ্চলে এক শ্রমিক সভায় সোমবার অংশ নিয়ে শিল্প, বাণিজ্য, কর্মসংস্থান ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে শুভেন্দু রাজ্য সরকারের জমি নীতি নিয়েও কটাক্ষ করে এও বলেন, ‘‘রাজ্যে ২ কোটি বেকার। বাংলায় কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় পেটের ক্ষুধা নিয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হচ্ছে বাংলার বেকার যুবকদের ৷ ’’

advertisement

শুধুমাত্র সরকারি চাকরি দিয়ে বেকারত্ব নিরসন সম্ভব নয় বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করে শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘সিঙ্গুরের তৈরি কারখানাকে ডিনামাইট দিয়ে ওড়ানোই শুধু নয়, তৃণমূল জমানায় বাণিজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি না করতে পারায় কোনও উদ্যোগপতিরা বাংলায় শিল্প করার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। বামপন্থী ক্রমিক সংগঠনগুলি শুধুমাত্র 'ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও, জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও' এই স্লোগানের মাধ্যমে রাজ্যের শিল্পে সর্বনাশ করে চলে গেছে, ঠিক একই পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে শিল্পে ধ্বংসলীলা চালানো হচ্ছে।’’

advertisement

আরও পড়ুন- বসন্তেই কাবু হবে সংক্রমণ, কমবে শিশুদের শ্বাসকষ্ট! দোল আসতেই আশায় স্বাস্থ্য দফতর, জারি বিবৃতি

শিল্পের সামান্য পরিবেশ না থাকার কারণে রাজ্য থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন উদ্যোগপতিরা বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এদিন শ্রমিক সমাবেশ থেকে তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারী। উত্তর প্রদেশ, গুজরাত, মহারাষ্ট্রের তুলনা টেনে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন যে, ‘‘শুধুমাত্র ছয় লক্ষ কোটি টাকা ঋণের বোঝাই নয়, বাংলা যেখানে নতুন কোনও শিল্প স্থাপন করতে পারেনি, পুরনো শিল্প সংস্থা বন্ধ হয়েছে সেখানে বিজেপি শাসিত অন্যান্য রাজ্যে শিল্পের জোয়ার বইছে। আর বাংলায় কোনও কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সিংহভাগই বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা পেটের টানে, ৪৫ লক্ষ বেকাররা রুজি রুটির টানে বাংলার বাইরে থাকছেন।’’

advertisement

আরও পড়ুন- বন্ধুর বাংলোয় লুকিয়ে দেখা করতেন রেখা, শ্যুটিংয়ের টাইম বদলাতেও চাইতেন ! গোপন কথা ফাঁস করেছিলেন বি-টাউনের ‘খলনায়ক’

এই পরিস্থিতিতে বিকল্প একমাত্র ভারতীয় মজদুর সংঘ বা বিএমএস। তাই সমস্ত স্তরের শ্রমিক কর্মচারীদের বিএমএসের ছাতার তলায় আসারও এদিন আহ্বান জানান এ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ‘‘বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার হলেই শিল্পের পুনরুজজীবন ঘটবে।’’ কল্যাণী শিল্পাঞ্চলে দাঁড়িয়ে এদিনের শ্রমিক সভা থেকে শুভেন্দুর দাবি ও বার্তা , ‘‘সদস্য সংখ্যার বিচারে ভারতীয় মজদুর সংঘ দেশের মধ্যে এক নম্বর শ্রমিক সংগঠন। তাই বাংলাতেও সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারীরা শিল্পের স্বার্থে BMS শ্রমিক সংগঠনে যুক্ত হয়ে ঐক্যবদ্ধ হন। ধ্বংস নয়, ধর্মঘট নয়, রাষ্ট্র নির্মাণ করাই আমাদের শ্রমিক সংগঠনের মূলমন্ত্র।’’

এদিনের শ্রমিক সমাবেশ থেকে কেন্দ্রীয় শিল্প সংস্থার কর্তৃপক্ষের একাংশকে হুঁশিয়ারির সুরে শুভেন্দু অধিকারী পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘‘শ্রমিক আইন মেনে কাজ করুন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে এমন কিছু কাজ করবেন না যাতে দিল্লিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রীকে আপনাদের বিরুদ্ধে আমাকে নালিশ জানাতে হয়।’’

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Suvendu Adhikari: রাজ্যে শিল্প নিয়ে বামেদের পাশাপাশি মমতাকে তোপ শুভেন্দুর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল