পাশাপাশি খানাকুলের এ দিনের সভা থেকে নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী খানাকুল-সহ রাজ্যের বাকি তৃণমূল নেতাদেরও সতর্ক করে বললেন, ‘‘সাবধান হন। খানাকুলে তাণ্ডব- সহ সব আমরা নজরে রাখছি। গরু চুরি, বালি চুরি কয়লা চুরি-সহ বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে যারা যুক্ত তারা কেউ ছাড় পাবেন না। আমাদের কর্মীদের উপর অত্যাচারের সব হিসেব হবে।’’
advertisement
আরও পড়ুন-শুধু গাড়ি কেনার জন্য নয়, কুন্তলের থেকে আরও টাকা নেন বনি? ফের তলব করতে পারে ইডি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এদিন নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য, ‘‘দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সবাইকেই জেলে যেতে হবে।’’ সভা থেকে খানাকুল থানার আইসিকেও কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত সময় দিয়ে গেলাম। আমাদের কর্মী-সমর্থকরা যদি বাড়িতে ঠিকভাবে থাকতে না পারে, অত্যাচার করা হয়, তাহলে পরের দিন আমি খানাকুলে আসব কর্মী-সমর্থকদের সবাইকে বাড়ি পৌঁছে দিতে। দেখব আপনাদের কত ক্ষমতা আছে আমাকে বাধা দেওয়ার।’’
এদিন সংখ্যালঘু এলাকাতে দলীয় সভায় অংশ নিয়ে সংখ্যালঘুদেরও বার্তা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বিজেপি আপনাদের শত্রু নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবার কথা ভেবে উন্নয়ন করছেন। রাষ্ট্রবাদীরা সবাই বিজেপির বন্ধু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সংখ্যালঘুদের বিজেপি সম্পর্কে ভুল বোঝাচ্ছে।’’ শুভেন্দুর দাবি, সাগরদিঘির ভোটের ফলাফল থেকেই প্রমাণিত যে সংখ্যালঘুরা মুখ ফেরাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিক থেকে। মানুষ ভোট দিতে পারলে বাংলা থেকে তৃণমূল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন- উদ্ধার হওয়া বন্যপ্রাণীদের দেহাংশ কোথা থেকে এল? নাগেরবাজারের ঘটনায় বিশেষ দল গঠন বন দফতরের
প্রসঙ্গত, খানাকুল বিধানসভার নতিবপুরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে সম্প্রতি খুন হন বিজেপি কর্মী সুদর্শন প্রামাণিক ও অজয় প্রামাণিক বলে অভিযোগ। সেই দলীয় দুই কর্মীর স্মরণসভায় অংশ নেওয়ার আগে সংখ্যালঘুদের খাস তালুক হিসেবে পরিচিত এলাকায় দলীয় কর্মী সমর্থক নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার পদযাত্রাও করেন শুভেন্দু অধিকারী।