বাগুইআটি ও নাগেরবাজারের মাঝামাঝি একটি ফ্ল্যাটে হানা দিতেই চক্ষু চড়কগাছ হয় বন দফতরের। মানুষের মাথার খুলি শহরে মেলায় জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গত রাতে। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বন দফতর। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে মানুষের মাথার ৫টি খুলি, হরিণের শিং, চামড়া, বাঘের দাঁত। তন্ত্র সাধানার আড়ালে ওইসব সামগ্রী পাচারের ছক কষা হয়েছিল বলে মনে করছে বন দফতর ও পুলিশ।
এই ফ্ল্যাটটি একজন তান্ত্রিকের। দমদম প্রাইভেট রোডের আমবাগান এলাকায় ওই তান্ত্রিকের ফ্ল্যাটে হানা দেয় পুলিশ।ওই তান্ত্রিকের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণ বন্য জীবজন্তুর ছাল, অস্থি। বেআইনিভাবে সেগুলি রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। নাগেরবাজার থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই বুধবার রাতে তল্লাশি শুরু করে বন দফতর। তখনই উদ্ধার হয় সাদা ও কালো হরিণের ছাল, বাঘের নখ ও দাঁত, মানুষের মাথার খুলি এবং একাধিক পাখির দেহাংশ। যে ঘরটি থেকে ওইসব সামগ্রী মিলেছে সেটিকে দেখে পুলিশের অনুমান, সেখানে তন্ত্রসাধনা হতো। আর তার আড়ালে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল।
যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন জ্যোতিষী। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, ‘আমাকে একজন ফোন করে বলেন, বন্যপ্রাণী সম্পর্কে কিছু জিনিস একটি ফ্ল্যাটে রয়েছে। যা রাখা নিষিদ্ধ। ওই খবরের ভিত্তিতে বন দফতর হানা দেয়।’কোনও বাঘ মারা যাওয়ার খবর নেই। তাহলে বাঘের দাঁত এল কোথা থেকে? এছাড়া যে হরিণের চামড়া পাওয়া গিয়েছে তা এখানের নয় ৷ তাই এই বিশেষ দল গঠন করল রাজ্য বন দফতর।