মঙ্গলবার সাগরদিঘী উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহার সমর্থনে জনসভায় এসে সরাসরি শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কানাইবাবুকে তৃণমূলে আসার জন্য আমি ৫০লক্ষ টাকা দিয়েছি ও এনায়েত একটি স্করপিও গাড়ি দিয়েছে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে ওঠে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে কানাই শুভেন্দুর হাত ধরে সিপিআইএম-এর বিধায়ক থেকে তৃণমূলে যোগদান করেন। এই তৃণমূলে আসার জন্যই তিনি ঢাকা ও গাড়ি নিয়েছিলেন বলেই প্রকাশ্য জনসভায় অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, কানাই মন্ডল ৫০লক্ষ টাকা ও স্করপিও গাড়ি নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেছে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে ওঠে। আর তারপরেই আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন কানাই মণ্ডল।
advertisement
আরও পড়ুন: খোঁজ দিতে পারলেই পাবেন ১৫ লক্ষ! NIA-এর ঘোষণা, কে এই অভিযুক্ত?
তিনদিনের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী ক্ষমা না চাইলে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানালেন তৃণমূলের জঙ্গিপুরের সাংগঠনিক চেয়ারম্যান ও বিধায়ক কানাই মণ্ডল। বুধবার সাগরদিঘীতে তিনি বলেন ইতিমধ্যেই উকিলের সঙ্গে কথা বলেছি। শুভেন্দু অধিকারী যা বলেছেন সেটা মিথ্যা কথা। উনি যেটা বলেছেন সেটা উনাকেই প্রমান করতে হবে। আমি গাড়ি কিনেছি আমার স্ত্রীর নামে লোন করে, সেইসব কাগজপত্র রয়েছে আমার কাছে।
আরও পড়ুন: প্রয়াত জটু লাহিড়ি, শিবপুরের টানা ৫বারের বিধায়ক ছিলেন তিনি
সিপিআইএম-এর জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, আমরাও সেই সময় অভিযোগ করেছিলাম। আমরাও চাই যে তৃণমূল দলে নিয়ে গিয়েছিল সে বর্তমানে বিজেপির নেতা। আমরাও চাই পুরো ঘটনার তদন্ত হোক। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, যিনি আজ বিজেপির নেতা হয়েছেন তিনি যখন মুখ্যমন্ত্রীর সেনা ছিলেন তখন কংগ্রেসকে ভাঙার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কোটি কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। বিধায়ক, জেলাপরিষদ, গ্রাম পঞ্চায়েত সবকিছুতেই আলাদা আলাদা রেট ছিল। সেইসব কিছু আমার জানা আছে।