গতকাল রাতে ময়নায় বিজেপি-র বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুইঞা খুন হন৷ তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলের নেতাকে খুনের অভিযোগে সরব হয়েছেন ময়নার বিজেপি নেতা কর্মীরা৷
আরও পড়ুন:'ও তো তৃণমূলের...!' শুভেন্দু প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দাবি অভিষেকের
বিজেপি-র বুথ সভাপতিকে অপহরণ এবং খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে গতকাল রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে পূ্র্ব মেদিনীপুরের ময়না৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকালে ময়নায় পথ অবরোধ করে বিজেপি৷
advertisement
সেখানেই হাজির হয়ে আগামিকাল ময়নায় ধর্মঘটের ডাক দেন শুভেন্দু৷ পাশাপাশি এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি৷ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারি হাসপাতালের বদলে কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে নিহত বিজেপি নেতার ময়নাতদন্ত করানোর দাবিও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা৷
শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ময়নায় বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেয়নি তৃণমূল৷ জোর করে ভোটে জিতেছে তারা৷ ২০২১-এ বিধানসভা ভোটে ময়না থেকে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী অশোক দিন্দা৷ আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে বিজেপি-কে আটকাতেই তৃণমূল এই ধরনের হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা৷
আরও পড়ুন: 'শুভেন্দু ভাগ্য ভাল বলেনি, এতো গরমের জন্য তৃণমূল দায়ী,' কটাক্ষ কুণালের
পথ অবরোধকে কেন্দ্র করে এ দিন যথেষ্ট উত্তেজনা তৈরি হয় ময়নায়৷ পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়৷ পরে শুভেন্দু অধিকারী গিয়ে জাতীয় সড়ক আটকে না রাখার জন্য দলীয় কর্মী সমর্থকদের অনুরোধ করেন৷ এর পরেই অবরোধ ওঠে৷
অভিযোগ, গতকাল রাতে বাড়ির সামনেই বিজেপি-র বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুইঞাকে তাঁর স্ত্রী এবং ছেলের সামনেই মারধর করতে শুরু করে বাকচা তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মনেরঞ্জন হাজরা এবং তার দলবল। অভিযোগ, মারধরের সময় এলাকার বাসিন্দারা জড়ো হয়ে গেলে অস্ত্র দেখিয়ে ওই বিজেপি নেতাকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। অপহৃত বিজেপি নেতাকে উদ্ধারের দাবিতে ময়না থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এর পর রাতে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই উদ্ধার হয় বিজেপি নেতার দেহ।
এই খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। থানার সামনে বিক্ষোভে যোগ দেন ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা।
যদিও এই ঘটনার সঙ্গে শাসক দল কোনওভাবে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন ময়নার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সংগ্রাম দলুই। তাঁর দাবি দোকান অথবা পারিবারিক কোনও বিবাদের কারণেই ওই বিজেপি নেতাকে খুন করা হয়েছে।