রবিবার নরেন্দ্র মোদির ১০০ তম 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে নন্দীগ্রামে বড় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে দশ হাজার মানুষ হাজির হয়েছিলেন বলে দাবি করেন শুভেন্দু। শুধু তাই নয়, নন্দীগ্রামের মানুষের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা বলারও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ''প্রধানমন্ত্রী নিজেই বেছেছেন নন্দীগ্রামকে। তাই আমরা কৃতজ্ঞ, আমরা খুশি!'' সকলের সঙ্গে বসে প্রধানমন্ত্রীর কথা মন দিয়ে শোনার পাশাপাশি বারবার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেও দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে।
advertisement
আরও পড়ুন: জেরায় হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন অনুব্রত কন্যা! ইডি-কে যা বললেন, তোলপাড় বাংলা
তবে, তার থেকেও বেশি করে আলোচনায় উঠে এসেছে হুইল চেয়ার নিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্য। ঘটনাটা ঘটেছিল ২০২১ সালের ১১ মার্চ। নন্দীগ্রামে এক সন্ধ্যায় হঠাতই পায়ে চোট পান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সোজা এসএসকেএম। চিকিৎসকরা বললেন, অন্তত এক মাস বিশ্রাম। কিন্তু ভোটের মাঝে এমন সিদ্ধান্তে নারাজ ছিলেন 'অগ্নিকন্যা'। দুদিন এসএসকেএম-এ থেকে তারপর থেকেই হুইল চেয়ারের ভোট-সফর। সেই ভাবেই কাটে প্রায় দেড় মাস।
আরও পড়ুন: সোমবার কে আসছেন সিবিআই দফতরে? বিরাট শোরগোল! শিকড় খুঁজতে 'বড়' তলব
শেষমেশ নন্দীগ্রাম থেকে নিজে হারলেও সারা রাজ্যে হুইল চেয়ারে তাঁর ভোট-সফর যে বিপুল প্রভাব ফেলেছিল, তা বিধানসভা ভোটের ফলাফলেই স্পষ্ট হয়ে যায়। নন্দীগ্রামে চোট পাওয়ার ঘটনায় বারবার BJP-র ষড়যন্ত্রের দিকে আঙুল তুলেছিলেন মমতা। বিজেপিও পালটা মমতার পা'য়ের অবস্থাকে 'নাটক' বলে কটাক্ষ ছুড়েছিল। কিন্তু হুইল চেয়ারে বসা ভাঙা পায়ের মমতাই ছিলেন ভোটের ইউএসপি। প্রতিটি সভায় নিয়ম করে তিনি বলেছেন, 'আমার এক পা আছে এখন। বাকি এক পা আমার মা-বোনেদের। আমার ওই মা-বোনেদের পায়ের জোরেই বাংলাকে বহিরাগতদের হাত থেকে রুখব তিনি।' অর্থাৎ, সুকৌশলে তিনি নিজের ভাঙা পায়ের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন মহিলা ভোটের প্রসঙ্গও। তার ফলও হাতেনাতে পেয়েছিল তৃণমূল। এদিন ফের মমতার সেই হুইল চেয়ার প্রসঙ্গ তুলে আনলেন শুভেন্দু অধিকারী, করলেন কটাক্ষও।