রবিবাসরীয় দুপুরে কুণাল ঘোষের উপস্থিতিতে কাঁথির এক অতিথিশালায় দেখা গেল রণজিতকে৷ বিষয়টা আরও বেশি করে রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সেই সাক্ষাত পর্বে সুপ্রকাশ গিরি উপস্থিত থাকায়।
আরও পড়ুন: 'তখনও দুজন বেঁচে ছিল'! ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শোনালেন প্রত্যক্ষদর্শী, প্রশ্নের মুখে 'চিনের' তৈরি বিমানবন্দর
প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতিতে গিরি পরিবারের বিরোধী বলেই পরিচিত ছিলেন রণজিৎ মণ্ডল। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বলছে, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যজুড়ে যখন বদলের হাওয়া উঠেছিল, সেই হাওয়াতে গা ভাসিয়েছিলেন খেজুরির তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক। যদিও সরাসরি জোড়াফুল ছেড়ে,পদ্মফুল শিবিরে যোগ দেননি তিনি৷ তবে অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ এই নেতার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল তৃণমূলের। একুশের বিধানসভা ভোটে রণজিতকে টিকিটও দেয়নি তৃণমূল।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রসববেদনা সত্ত্বেও নিয়ে যায়নি হাসপাতালে, বাড়িতেই চতুর্থ সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় মৃত তরুণী
২০২১ সালের ভোটে খেজুরিতে চূড়ান্ত ফলখারাপ হয় শাসকদলের৷ সংগঠনেও ধস নামে। এবার সেই খেজুরিতে সেই সাংগঠনিক শক্তি ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় মরিয়া শাসকদল। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কুণাল ঘোষকে। রবিবাসরীয় দুপুরে কাঁথিতে তাঁর উপস্থিতিতেই মুখোমুখি হলেন রণজিৎ মণ্ডল ও সুপ্রকাশ গিরি। সেখানেই খেজুরি বিধানসভা নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। সেই ভোটে নন্দীগ্রাম কার্যত নিজেদের দখলে রাখতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল। স্থানীয় নেতৃত্ব বলছে, তেমনটা করতে হলে খেজুরিতেও সংগঠন শক্তিশালী করা প্রয়োজন৷ সেই কারণেই রণজিৎ মন্ডলের অভিমান ভাঙিয়ে আরও বেশি করে তাকে সক্রিয় করার চেষ্টা করছে শাসকদল।
যদিও এই বৈঠক নিছকই কাকতালীয় বলছেন কুণাল ঘোষ৷ তিনি বলেন, "হঠাৎ করেই দু'জন একসঙ্গে চলে এসেছেন। আর উভয়েই তো এক রাজনৈতিক দলের সদস্য৷" বর্তমানে খেজুরিতে তৃণমূলের যে সাংগঠনিক কাঠামো। তাতে অধিকাংশই হলেন গিরি পরিবার ঘনিষ্ঠ। সেখানে রণজিৎ মণ্ডলের ভূমিকা কী হবে, এখন সেটাই দেখার।
