সুদূর সাইবেরিয়া ছাড়াও বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও মায়ানমার থেকে প্রতিবছরের মতোই ফিরে এসেছে এরা। স্থানীয় মানুষ জানান, মদনটাক, স্যাংকল, হাঁস, সাদা বক, কুনো বক, ডুবুরি, পানিকৌড়ি, বাটাং, বেকচো, ধাড়বক, কাকবক, মাছরাঙা সহ অসংখ্য পাখি শীত পড়লেই এই জলভাগে খাবারের সন্ধানে ভিড় জমায়। সকালের নরম আলোয় তাদের উড়ন্ত দৃশ্য আর জলস্পর্শে তৈরি হয় অপূর্ব এক দৃশ্য, যা দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করেন এলাকার মানুষ।
advertisement
স্থানীয়দের মতে, অতিথি পাখিদের আগমন শুধু মনোরম দৃশ্যই নয়, পরিবেশের পক্ষেও অত্যন্ত উপকারী। পোকামাকড়ের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে জলজ পরিবেশের স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় রাখতে তাদের বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই প্রতিবছর এদের ফিরে আসাকে তারা প্রকৃতির আশীর্বাদ হিসেবেই মনে করেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সুন্দরবনবাসীর কথায়, “শীত এলেই এই অতিথি পাখিরা আমাদের এলাকাকে অন্যরকম করে তোলে। এরা এলে মনে হয় প্রকৃতি আবারও নতুন করে জেগে উঠেছে।” প্রকৃতি ও মানুষের এই সহাবস্থানই সুন্দরবনকে বারবার নতুন রূপে বাঁচিয়ে রাখে। আর সেই রূপেরই অংশ হয়ে প্রতি শীতেই ফিরে আসে এই অতিথিরা। ডানায় ভর করে নতুন মরশুমের বার্তা নিয়ে আসে।





