রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের পর এবার বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের সংরক্ষণে সফল সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা আসেন সুন্দরবনে, এখানে দেখা মেলে এই বিলুপ্ত প্রায় কচ্ছপেরও। একসময় সুন্দরবন থেকে শুরু করে মায়নমার, থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়া উপকূল পর্যন্ত এই বিশেষ ধরনের কচ্ছপের বসতি ছিল। বর্তমানে সারা বিশ্বের কোন জঙ্গল বা নদী বা সমুদ্রে এদের দেখা মেলে না বলে দাবি করছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা।
advertisement
সমুদ্র উপকূল এলাকা থেকে অন্যান্য কচ্ছপের ডিম সংগ্রহ করতে এই বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কচ্ছপের ডিম মিলে ১৯৯৭ সালে। তার থেকে দু’একটা বাচ্চার জন্ম হয়। ২০০৮ সালে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প সাতটি পুরুষ কচ্ছপ ও পাঁচটি স্ত্রী কচ্ছপ নিয়ে সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছিল। বর্তমানে ৬৫০ টির বেশি এই কচ্ছপ রয়েছে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রথমে প্রাকৃতিক উপায়ে কচ্ছপগুলির বংশবৃদ্ধি হলেও গত তিন বছর ধরে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প কৃত্রিম উপায়ে ডিম ফোটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। যার সাফল্য হাতে এসেছে বন দফতরের। চলতি বছরে কৃত্রিম উপায়ে মোট ২২৩ টি কচ্ছপের জন্ম হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা। বর্তমানে সজনেখালী, দো বাকি, নেপি ধোপানি, চামটা, হরিখালীতে এদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে বন দফতর।
সুমন সাহা