অতিমাত্রায় দূষিত জল ম্যানগ্রোভের গায়ে লেগে তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করছে। গাছগুলি দুর্বল হয়ে পড়ছে। অনেক ক্ষেত্রেই মারা যাচ্ছে। নদীর জলে পচা বর্জ্য আর রাসায়নিক মিশে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কমে যাচ্ছে জলের অক্সিজেনের মাত্রা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়ার মতো নদীজ প্রাণীরা। বিদ্যাধরী নদীর জলে জমে থাকা এই বর্জ্য কচুরিপানার অস্বাভাবিক বৃদ্ধিকেও উস্কে দিচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন : মাত্র ৩০০ টাকায় বাজার কাঁপানো অফার, ভাইফোঁটার সেরা গিফট! স্টক শেষ হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
ঘন কচুরিপানায় নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়ছে, সূর্যের আলো জলে পৌঁছচ্ছে না। ফলে পুরো জলজ বাস্তুতন্ত্র ধীরে ধীরে নিঃশেষের পথে। সুন্দরবন বিষয়ক গবেষক ড. অনিমেষ মণ্ডল সতর্ক করে বলেছেন, এই দূষণ যদি এখনই রোধ না করা যায়, তাহলে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য চরম বিপদের মুখে পড়বে। উল্লেখ্য, সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ শুধু প্রকৃতির শোভা নয়, এটি উপকূলের প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে যে ধ্বংস নেমে আসে, তার প্রথম আঘাত নেয় এই ম্যানগ্রোভ বন। কিন্তু শহরের অবহেলিত নিকাশিনালা আর নোংরা জল আজ সেই সবুজ ঢালকেই নিঃশেষ করে দিচ্ছে। এখনই প্রয়োজন কঠোর পদক্ষেপ। দূষণ রোধে কার্যকর উদ্যোগ, বর্জ্যজল পরিশোধনের ব্যবস্থা, নদী ও খালের নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রয়োজন রয়েছে। আর মানুষের সচেতনতা দরকার। নইলে আগামী প্রজন্ম হয়ত শুধুই ইতিহাসের বইয়ে পড়বে সুন্দরবনের সেই অনন্য ম্যানগ্রোভ অরণ্যের গল্প।