উত্তর ২৪ পরগনার ওই এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “টিউবওয়েলের জল চেখে দেখারও উপায় নেই, এমন লবণাক্ত যে শরীর খারাপ করে যায়। খাওয়ার জল আনতে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে সরকারি ট্যাপ কলের কাছে যেতে হয়। সেখানে আবার লম্বা লাইন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা।”
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিসের যম, যাদু করে বড় বড় পেটের রোগে! সুন্দরবনের পশুদের প্রিয় এই ফলই মানুষের মহৌষধ
advertisement
অনেকে জানাচ্ছেন, বাইসাইকেল, মোটরবাইক কিংবা গাড়ি ভাড়া করে জল আনতে হচ্ছে। কেউ কেউ দিনের অর্ধেকটাই জল সংগ্রহে ব্যয় করছেন। যদিও সরকারি ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পের অধীনে এই এলাকায় বেশ কিছু মাস আগেই পাইপলাইন বসানো হয়েছে, তবু এখনও পর্যন্ত এক ফোঁটা জলও পাননি স্থানীয়রা। মানুষ জানাচ্ছেন, পাইপ বসানো হলেও তা শুধু ‘দেখানোর জন্য’। জল সরবরাহ চালু হয়নি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই জলের অভাবের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে এলাকার নারী ও শিশুদের উপর। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জল আনার দায়িত্বে থাকতে হচ্ছে বাড়ির পুরুষ থেকে মহিলাদের উপর। অনেক সময় শিশুরাও এই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে, ফলে পড়াশোনায় প্রভাব পড়ছে। চকপাটলি মহিশপুকুরের মানুষদের দাবি, অবিলম্বে এই সংকটের সমাধান করা হোক। জল জীবন মিশনের পাইপলাইন যেন বাস্তবে কার্যকর হয় এবং প্রত্যেক বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছানো যায়—এই দাবিতে তাঁরা একাধিকবার প্রশাসনের কাছে দরবার করেছেন। কিন্তু ফলাফল এখনও শূন্য।
পানীয় জল একটি মৌলিক অধিকার, যা ছাড়া জীবন অচল। তবুও ২১শ শতকের ডিজিটাল ভারতের প্রান্তিক সুন্দরবন অঞ্চলে আজও হাজারও মানুষ প্রতিদিন হেঁটে জল আনতে বাধ্য হচ্ছেন। এই অবস্থায় দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান আরও অবনতির দিকে যেতে পারে।
জুলফিকার মোল্যা