নদিয়ার বামুনপুকুর হাই স্কুলে ভূগোলের শিক্ষক প্রশান্ত । তবে ছেলেবেলা থেকে তাকে দূরের পাহাড় আকর্ষণ করত। আর সেই কারণেই বর্তমানে ভূগোলের শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি জয় করে চলেছেন একের পর এক পর্বতশৃঙ্গ। এই বছরেরই ১১ জুলাই হিমাচলের মাউন্ট রামজাগ পর্বতশৃঙ্গ জয় করেন তিনি এবং তাঁর পর্বতারোহণের টিম। এ বছরেই প্রায় তিন মাসের মাথায় অরুণাচল প্রদেশের মাউন্ট গোরিচেন শৃঙ্গ জয় করে সেই পর্বত শৃঙ্গে উত্তোলন করেছিলেন নিজের স্কুলের পতাকা।
advertisement
এ বছর তাঁর সঙ্গে ছিলেন রানাঘাট কুপার্স কলোনি হাই স্কুলের শিক্ষিকা রুম্পা দাস, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কাপাসহাঁটি মিলনবিথী হাই স্কুলের শিক্ষক সুব্রত ঘোষ। শিক্ষকদের এ হেন পাহাড় চড়ার নেশায় প্রশংসা করেছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন : ঝরনা, দুর্গম গুহায় ইতিহাস মিলিয়ে শীতের শুরুতে শুশুনিয়া যেন ‘চাঁদের পাহাড়’
ভূগোল শিক্ষক প্রশান্ত প্রথম বাঙালি সিভিলিয়ান হিসেবে অরুণাচল প্রদেশে সর্বোচ্চ আরোহণযোগ্য শৃঙ্গ মাউন্ট গোরিচেনের (৬৪৮৮ মিঃ) শীর্ষ স্থান স্পর্শ করেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহ-পর্বতারোহীরা। প্রশান্তবাবু জানান, ‘‘যে কোনও পর্বত অভিযান সফল হলে খুবই ভাল লাগে । বিশেষ করে গোরিচেন শৃঙ্গে প্রথম সিভিলিয়ন দল হিসেবে আমরা এই অভিযান সফল করলাম। তার জন্য খুবই আনন্দিত। পর্বতশৃঙ্গে স্কুলের পতাকা ওড়ানো আমার কাছে সত্যিই গর্বের বিষয়। আগামী প্রজন্ম এই অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে যত আসবে, তত তারা হতাশা কিংবা মানসিক অবসাদ থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারবে।গ্রামের একটি সরকারি বিদ্যালয়ের ভূগোলের শিক্ষকের একের পর এক পর্বতশৃঙ্গ অভিযান এবং জয়ের ফলে গর্বিত তাঁর স্কুলের সহকর্মী-সহ পরিবার ও আত্মীয়স্বজনেরাও।