রজত জয়ন্তী বর্ষ নবদ্বীপ বইমেলার সূচনা করলেন সাহিত্যিক ও আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ন চট্টোপাধ্যায়। নদিয়ার নবদ্বীপ শহরে সূচনা হল নবদ্বীপ বইমেলা কমিটি আয়োজিত রজত জয়ন্তী বর্ষ নবদ্বীপ বইমেলার। ১৮ এপ্রিল নবদ্বীপ দেয়ারা পাড়া বাইলেনে মিলন সংঘ মাঠে এদিন বইমেলা কমিটির পতাকা উত্তোলন করেন বইমেলা কমিটির সভাপতি প্রবীর কুমার বসু, এরপর বিগত দিনে নবদ্বীপ বইমেলা কমিটি সহ দেশ ও রাজ্যের যেসমস্ত মানুষ পরলোক গমন করেছেন তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে কিছু সময় নীরবতা পালন ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ৫ বছর পর ফের শান্তিপুরে চালু হল সাঁতার প্রশিক্ষণ! শুরুতেই একের পর এক ধামাকা অফার, মিস করলে লস
এরপর উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশিত হয় এবং উপস্থিত অতিথিদের উত্তরীয়, ব্যাজ পরিয়ে ও পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বলন করে রজতজয়ন্তী বর্ষ নবদ্বীপ বইমেলার সূচনা করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ন চট্টোপাধ্যায়। এদিন নবদ্বীপ বইমেলা কমিটি আয়োজিত রজত জয়ন্তীবর্ষ বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত। ছিলেন নবদ্বীপ পৌরসভার পৌরপতি বিমান কৃষ্ণ সাহা,উদ্বোধক সাহিত্যিক ও আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ন চট্টোপাধ্যায়, সাহিত্যিক তমাল বন্দোপাধ্যায়, সাহিত্যিক সুদীপ ভট্টাচার্য,নবদ্বীপ পুরাতত্ব পরিষদের সম্পাদক শান্তি রঞ্জন দেব, নবদ্বীপ বইমেলা কমিটির সভাপতি প্রবীর বসুসহ নবদ্বীপ শহরের বিভিন্ন পাঠাগারের সভাপতি,সম্পাদক এবং নবদ্বীপ পৌরসভার একাধিক কাউন্সিলারগন, এছাড়াও জাতীয় শিক্ষক বিজন কুমার সাহা, সাহিত্যিক জনাব সিরাজুল ইসলাম ও নবদ্বীপ বইমেলা কমিটির সদস্য সদস্যাবৃন্দ ও বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বই জ্ঞানের উৎস, আর বইমেলা হলো সেই জ্ঞানের ভাণ্ডারের প্রদর্শনী। প্রতিবছর বিভিন্ন সময়ে ও স্থানে আয়োজিত হয় বইমেলা, যেখানে পাঠক, লেখক এবং প্রকাশকদের একত্রিত হবার এক চমৎকার সুযোগ তৈরি হয়। বইমেলায় বিভিন্ন বিষয়ে লেখা বই সহজলভ্য হয়। পাঠক নিজের পছন্দ অনুযায়ী বই কিনে জ্ঞান লাভ করতে পারে।
সাহিত্যচর্চা ও লেখক-পাঠক সংযোগ: লেখকরা পাঠকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ পান। এতে সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ জন্মায় এবং নতুন লেখকদের উৎসাহিত করে। অনেক বই ঐতিহ্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ক। বইমেলায় এসব বই পড়ে নতুন প্রজন্ম দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন হয়। বইমেলাকে কেন্দ্র করে প্রকাশনা শিল্পের প্রসার ঘটে। নতুন নতুন প্রকাশনী গড়ে ওঠে এবং বই প্রকাশের হার বাড়ে। বইমেলা শুধুমাত্র বই কেনাবেচার জায়গা নয়; এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান ও সংস্কৃতির উৎসব। এর মাধ্যমে পাঠ্যাভ্যাস গড়ে ওঠে, সাহিত্যচর্চা বৃদ্ধি পায় এবং জাতীয় ঐতিহ্য সমুন্নত থাকে। তাই বইমেলার গুরুত্ব অপরিসীম এবং এর প্রতি আমাদের আগ্রহ ও সমর্থন থাকা উচিত।
Mainak Debnath





