পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধবপুর থেকে রাঙ্গামাটিয়া পর্যন্ত সাত কিমি পদযাত্রায় সামিল হন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের কটাক্ষ করেন তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধেও মুখ খোলেন সুজন চক্রবর্তী।
গঙ্গা আরতি নিয়ে তৃণমূল বিজেপির রেষারেষি নিয়ে তিনি বলেন, ''রাজনীতিকে কলুষিত করা হচ্ছে। আরতি মা বোনেরা দেয়, দিতে অভ্যস্ত। এটার জন্য রাজনীতি লাগে না, রাজনীতির দল লাগেনা। জিনিসের দাম মানুষের কাজ জীবনমান এগুলো রাজনীতি না, রাজনীতি হল কে আরতি করবে, কে আরতি করবে না। রাজনীতিকে কলুষিত করা হচ্ছে এসবের মধ্য দিয়ে।''
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে ১১ কোটি টাকা উদ্ধার, আয়কর দফতরের বিরাট হানা! তোলপাড় বাংলা
পঞ্চায়েতে ভোট দিতে না দিলে ব্যালট বক্সের পুকুরে ফেলে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''শুভেন্দু অধিকারী কী বললেন, সেটা উত্তর দেওয়া আমার কাজ নয়। যাতে মানুষ ভোট দিতে না পারে তৃণমূল তার ব্যবস্থা করেছে। তৃণমূলের এই ব্যবস্থাপনায় যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, তেমন শুভেন্দু অধিকারীও আছে।''
আরও পড়ুন: মালদহে গেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তার পরের ঘটনাতেই তুঙ্গে বিতর্ক! কী এমন ঘটল?
তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে সুজনের সংযোজন, ''বিধায়ক মন্ত্রীও না, ছোট খাটো নেতা তার বাড়িতে ১৫ কোটি, যুব নেতার ১৯ কোটি। যত বড় নেতা তত বড়লোক এই যে কথা আমরা যে বলি, সেটা সর্বাংশে মিলছে। সাধারণ মানুষকে স্বর প্রশান্ত করে একটি লুটের রাজত্ব চালাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। যত বড় নেতা সবার ইনকাম ট্যাক্স চেক করা উচিত।''
আদালত অবমাননা রুল জারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচারপতি মান্থা যেটা যথার্থ মনে করেছেন সেটাই করেছেন। এছাড়াও তিনি বলেন এটা বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা, সংবিধানকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির অনুসারী হচ্ছে তৃণমূল।''