তবে বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এখন অনেকাংশেই এই কষ্টকর প্রক্রিয়া মেনে আখ খাওয়া থেকে মুখ ফিরিয়েছেন। আগে গ্রাম বাংলার নানা জায়গায় এই আখ খাওয়ার প্রবণতা দেখা গেলেও বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় আখের রস পেষাই করে গ্লাসে সরবত হিসেবে খাওয়ার রীতি দেখা গেলেও আখ দাত দিয়ে কামড়ে খাওয়ার বিষয়টি সেভাবে দেখা যায় না। তাই নতুন প্রজন্মের যুবসমাজকে স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা সহ শরীর ঠান্ডা রাখতে এই গরমের দিনে আখ খাওয়ার আগ্রহ বাড়াতেই বাণীপুর মেলার মাঠে এদিন আয়োজন করা হয়েছিল এই প্রতিযোগিতার।
advertisement
প্রায় ১৮ ইঞ্চি করে এক একটি আখের টুকরো দেওয়া হয় প্রতিযোগীদের। পাঁচ মিনিট সময়ের মধ্যে প্রতিযোগিরা কে কটি আখ খেতে পারে তার ওপরই বেছে নেওয়া হয় জয়ী প্রতিযোগীদের। তবে সম্পূর্ণ আখের রস খেয়ে ছিবড়েই ফেলতে হবে, অন্যথায় প্রতিযোগীর নাম বাতিলের নিয়ম রাখা হয়েছিল উদ্যোক্তাদের তরফে।
এদিন প্রায় ৫০ জন প্রতিযোগী বেশ কয়েকটি ধাপে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। বয়স্ক মানুষজন থেকে নতুন প্রজন্ম বাদ যাননি কোন বয়সের মানুষই, এমনকি মহিলা প্রতিযোগিদেরও দেখা যায় দাঁত দিয়ে আখ ছাড়িয়ে খেতে। এমন অভিনব প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে খুশি সাধারণ মানুষজনও। ৫ টাকার বিনিময়ে এন্ট্রি ফ্রি দিয়ে প্রতিযোগিতা নাম নথিভুক্ত করেন। জয়ী প্রতিযোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশেষ উপহারও। আখ খাওয়ার এমন প্রতিযোগিতা আগামী দিনে মানুষকে আখের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করাবে বলেই মনে করছেন উদ্যোক্তারা। ফলে গরমের দিনে কিছুটা হলেও বাজার জাত ঠান্ডা পানীয় ছেড়ে আখের রস খেয়েই সুস্থ থাকতে পারবে আম নাগরিক।
Rudra Narayan Roy