জানা গিয়েছে, ব্রাহ্মণী ও দ্বারকার জলে ভেসে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। রাস্তাঘাট, চাষের জমি জলের তলায়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের ঝিল্লি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কিঠিডাঙ্গা, ঘোষকুল, যাদবপুর, নমো যাদবপুর, পেলাই, পাহাড়পুর, বাজিতপুর, পোড়াডাঙ্গা গ্রামে দুর্ভোগ অব্যাহত। জল ঢুকেছে বসত বাড়িতেও। বেশ কিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
advertisement
শুধু বসত বাড়ি বন্যার কবলিত পড়েছে এমনটা নয়। মুর্শিদাবাদের ঝিল্লি গ্রাম পঞ্চায়েত তন্তু চাষের উপর নির্ভরশীল। তুঁত চাষ ও আমন ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার জলে জলের তলায় যোগাযোগের প্রধান রাস্তা। বছরের পর বছর ধরে প্লাবনের সমস্যায় জর্জরিত গ্রামবাসীরা। বর্ষার সময় প্রত্যেক বছর এই ছবি দেখা যায়। এবারেও অন্যথা হল না।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী লাগোয়া বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অনেকেই ভিটেমাটি ছেড়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত এলাকায় পৌঁছয়নি কোনও সরকারি ত্রাণ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিপদের ঝুঁকি নিয়েই জলমগ্ন রাস্তা দিয়ে জরুরী কাজে পারাপার হতে হচ্ছে। সময়মতো স্কুলে যেতে পারছে না পড়ুয়ারা। জরুরী অবস্থায় রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াও মুশকিল ।
বিধায়ক আশিস মার্জিত জানান, ঝাড়খন্ড ও বিহারে লাগাতার বর্ষণ। বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছে, তারওপর নিম্নচাপের বৃষ্টি। যে কারণে পুনরায় ব্রাহ্মণী নদীর জলস্ফীতি হয়েছে। ফলে ঝিল্লি গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সবরকম সহায়তার জন্য চেষ্টা চলছে।