ঘটনাটি ঘটে শনিবার সকালে। এক পরিবারের আমগাছের মাথায় পাখির তীব্র চিৎকারে চমকে যান বাড়ির লোকেরা। উপরে চোখ যেতেই যা দেখেন, তাতে যেন মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড়—ছটফটে পাখিদের মধ্যে কুণ্ডলী পাকিয়ে বসে এক বিশাল পাইথন! মুহূর্তে খবর ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ভিড় জমে যায় গাছ তলায়!
আপনি কি সরকারি কর্মচারী? মিষ্টির বাক্স রেডি রাখুন! যে কোনও সময় আসতে পারে সুখবর!
advertisement
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় টুকরিয়াঝাড় বনদফতরের কর্মীরা ও পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর প্রায় ৬ ফুট লম্বা পাইথনটি উদ্ধার করা হয়।
গাছে আম খেতে উঠল অজগর?
প্রশ্নটা উঠছেই। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পাইথন গাছে উঠলেও তার মূল উদ্দেশ্য আম খাওয়া নয়। বর্ষার জলে ভেসে পাইথনটি আশেপাশের গভীর জঙ্গল থেকে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ঢুকে পড়েছে। খাবারের সন্ধানেই সে আমগাছে উঠে পড়েছে বলে অনুমান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, পাশেই নদী আর বনাঞ্চল থাকায় এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। তবে গাছের এতটা ওপরে পাইথনের দেখা—তা এই প্রথম! এর আগে নানান প্রাণী দেখা গেলেও এভাবে মগডালে পাইথনের বসবাস দেখে চোখ কপালে সবার।
কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে পাইথনকে?
বনদফতর সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া পাইথনটিকে চিকিৎসার পর আবার গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। এলাকাবাসীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, বিশেষ করে ছোটো শিশুদের গাছের নিচে বা ঝোপঝাড়ে না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একদিকে প্রকৃতি, আর একদিকে জনবসতি—দুইয়ের সংঘাতেই এ যেন জ্যান্ত রোমাঞ্চ। তবে প্রকৃতির এই অনাহূত অতিথি আমগাছের প্রেমিক ছিল না নিশ্চয়ই… তবুও নকশালবাড়ির মানুষ আজও বলছে— ‘মগডালে পাইথন, গাছে গাছে এখন রহস্য!’