ছোট থেকেই নাচের প্রতি গভীর ভালবাসা ছিল তাঁর। টেলিভিশনে রিয়্যালিটি শো দেখে দেখে বাড়িতে নিজেই নাচ শুরু করেন। সেই আগ্রহ ও জেদের জোরেই এখন তিনি পৌঁছে গিয়েছেন জনপ্রিয় একটি বেসরকারি চ্যানেলের ডান্স রিয়্যালিটি শো-এর ফাইনাল পর্যায়ে। পূজার নৃত্যগুরু তথা অশোকনগরের কোরিওগ্রাফার অমিত দাসের তত্ত্বাবধানে বিগত ছয় বছর ধরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তিনি। বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ায় পূজার জন্য আলাদা ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়। কানে পরানো হয় স্পেশাল ভাইব্রেশন যন্ত্র, যার তরঙ্গ অনুভব করে তিনি তাল মিলিয়ে নাচ করেন। তাঁর মা জানান, সাধারণ বাচ্চাদের মতো নয় বলেই শুরুতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু পূজার ইচ্ছা, জেদ আর অধ্যবসায় আমাদেরও অনুপ্রাণিত করেছে। এখন আমাদেরই পরিচয় তৈরি করে দিয়েছে পূজা। সবাই এখন বলেন, ওই যে পুজোর মা যাচ্ছেন! মেয়ের এই সাফল্যে খুশি তিনিও।
advertisement
আরও পড়ুন– কলেজে কলেজে শীঘ্রই সহকারি অধ্যাপক নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তি হবে আগামী বছরের শুরুতেই
অনুষ্ঠানে পূজার অনবদ্য পারফরম্যান্স শেষ হতেই অডিটোরিয়ামে উপস্থিত হাজারও দর্শক দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে তাকে সম্মান জানালেন। বিচারকরাও প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন এই প্রতিভাবান কিশোরীকে। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা সংস্থার তরফে পূজা ও তাঁর মাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পূজা নাচের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন, প্রতিভা আর ইচ্ছেশক্তি থাকলে কোন সীমাবদ্ধতাই মানুষকে থামাতে পারে না। তাঁর ভাবভঙ্গিমাতেই ধরা পড়ল, কী গভীরভাবে তিনি নাচকে ভালোবাসেন, কীভাবে প্রতিদিন শুধু নাচ নিয়েই ভাবেন, এবং কীভাবে প্রতিনিয়ত নিজেকে আরও উন্নত করে তুলতে চান। আজ জেলার অগণিত মানুষ চাইছেন সেরার সেরা হয়ে উঠুক জেলার এই মেয়ে।