TRENDING:

কানে শুনতে পান না, মুখেও নেই শব্দ ! পূজার সঙ্গে যেন এভাবেই কথা বলে নৃত্যের ছন্দ

Last Updated:

অশোকনগরের শহিদ সদন মঞ্চে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দর্শকের হৃদয় জয় করলেন ব্যারাকপুরের বাসিন্দা পূজা হালদার। মাত্র ক্লাস সিক্সে পড়েন পূজা। ছোটবেলা থেকেই কানে কিছু শোনেন না তিনি, কথাও বলতে পারেন না। কিন্তু এই শারীরিক সীমাবদ্ধতা তাঁর স্বপ্নে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
রুদ্র নারায়ণ রায়, উওর ২৪ পরগনা: কানে শুনতে পান না, মুখেও কোনও শব্দ উচ্চারণ করতে পারেন না। শুধুমাত্র অনুভব ও শরীরের ভাষার উপর নির্ভর করেই একের পর এক অসাধারণ নৃত্য পরিবেশন করে তাক লাগিয়ে দিলেন বিশেষভাবে সক্ষম এই শিল্পী ! অশোকনগরের শহিদ সদন মঞ্চে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দর্শকের হৃদয় জয় করলেন ব্যারাকপুরের বাসিন্দা পূজা হালদার। মাত্র ক্লাস সিক্সে পড়েন পূজা। ছোটবেলা থেকেই কানে কিছু শোনেন না তিনি, কথাও বলতে পারেন না। কিন্তু এই শারীরিক সীমাবদ্ধতা তাঁর স্বপ্নে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
advertisement

আরও পড়ুন– বৃষ্টি চলবে রাজ্যে, উত্তরে দুর্যোগের পূর্বাভাস ! কলকাতা-সহ দক্ষিণের সব জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হবে

ছোট থেকেই নাচের প্রতি গভীর ভালবাসা ছিল তাঁর। টেলিভিশনে রিয়্যালিটি শো দেখে দেখে বাড়িতে নিজেই নাচ শুরু করেন। সেই আগ্রহ ও জেদের জোরেই এখন তিনি পৌঁছে গিয়েছেন জনপ্রিয় একটি বেসরকারি চ্যানেলের ডান্স রিয়্যালিটি শো-এর ফাইনাল পর্যায়ে। পূজার নৃত্যগুরু তথা অশোকনগরের কোরিওগ্রাফার অমিত দাসের তত্ত্বাবধানে বিগত ছয় বছর ধরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তিনি। বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ায় পূজার জন্য আলাদা ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়। কানে পরানো হয় স্পেশাল ভাইব্রেশন যন্ত্র, যার তরঙ্গ অনুভব করে তিনি তাল মিলিয়ে নাচ করেন। তাঁর মা জানান, সাধারণ বাচ্চাদের মতো নয় বলেই শুরুতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু পূজার ইচ্ছা, জেদ আর অধ্যবসায় আমাদেরও অনুপ্রাণিত করেছে। এখন আমাদেরই পরিচয় তৈরি করে দিয়েছে পূজা। সবাই এখন বলেন, ওই যে পুজোর মা যাচ্ছেন! মেয়ের এই সাফল্যে খুশি তিনিও।

advertisement

আরও পড়ুন– কলেজে কলেজে শীঘ্রই সহকারি অধ্যাপক নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তি হবে আগামী বছরের শুরুতেই

View More

অনুষ্ঠানে পূজার অনবদ্য পারফরম্যান্স শেষ হতেই অডিটোরিয়ামে উপস্থিত হাজারও দর্শক দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে তাকে সম্মান জানালেন। বিচারকরাও প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন এই প্রতিভাবান কিশোরীকে। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা সংস্থার তরফে পূজা ও তাঁর মাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পূজা নাচের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন,  প্রতিভা আর ইচ্ছেশক্তি থাকলে কোন সীমাবদ্ধতাই মানুষকে থামাতে পারে না। তাঁর ভাবভঙ্গিমাতেই ধরা পড়ল, কী গভীরভাবে তিনি নাচকে ভালোবাসেন, কীভাবে প্রতিদিন শুধু নাচ নিয়েই ভাবেন, এবং কীভাবে প্রতিনিয়ত নিজেকে আরও উন্নত করে তুলতে চান। আজ জেলার অগণিত মানুষ চাইছেন সেরার সেরা হয়ে উঠুক জেলার এই মেয়ে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
কানে শুনতে পান না, মুখেও নেই শব্দ ! পূজার সঙ্গে যেন এভাবেই কথা বলে নৃত্যের ছন্দ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল