TRENDING:

অবৈধ বালি উত্তোলন, ভুগছে ১০ গ্রাম! তলিয়ে যাচ্ছে পোস্ট অফিস থেকে মন্দির, ঝাড়গ্রামে হেলদোল নেই প্রশাসনের

Last Updated:

পোস্ট অফিসের বেশীর ভাগ চলে গেছে নদী গর্ভে। বাসন্তী পুজোর দালানকে গিলে খাওয়া সময়ের অপেক্ষা। অস্থায়ী অঙ্গনওয়াড়ি ও ক্লাব ঘরকেও গিলে নিল সুবর্ণরেখা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ঝাড়গ্রাম, রাজু সিং: পোস্ট অফিসের বেশীর ভাগ চলে গেছে নদী গর্ভে। বাসন্তী পুজোর দালানকে গিলে খাওয়া সময়ের অপেক্ষা। অস্থায়ী অঙ্গনওয়াড়ি ও ক্লাব ঘরকেও গিলে নিল সুবর্ণরেখা। চিরতরে হারিয়ে যাওয়া ভেঙ্গে পড়া সেই ছবি ধরা থাকল গ্রামবাসীর মোবাইলে।
নদী ভাঙন
নদী ভাঙন
advertisement

সুবর্ণরেখার ভাঙনে হারিয়ে যেতে বসেছে গোপীবল্লভপুরের প্রায় ১০ টি গ্রাম। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মালিঞ্চা, ছাতিনার। ইতিমধ্যে নদীগর্ভে খেলার মাঠ, কয়েক হেক্টর ফলের বাগান সহ একাধিক বাড়ি। গোপীবল্লভপুরের সঙ্গে যোগাযোগের ঢালাই রাস্তাও অর্ধেক নদীগর্ভে। আতঙ্কে গ্রামবাসীরাও খাওয়া দাওয়া বন্ধ। পাশেই ত্রাণ শিবিরে খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। বাকি সময় পাহারা। যেকোনও সময় গ্রামে জল ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা। নদী ভাঙন এই বাড়বাড়ন্তর জন্য গ্রামবাসীরা দায়ী করছেন বালি খাদানগুলিকে। কারণ এই এলাকায় বৈধ বালি খাদনের পেছনে একাধিক অবৈধ বালি খাদান চলে। যারা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বেহিসাবি বালি তুলছে। লাখ লাখ ট্রাক বালি পাচার হয়ে গেছে।

advertisement

আরও পড়ুন: কার বেতন কার ঘাড়ে! মৃত শিক্ষিকাকে নিয়ে টানাটানি! এগরা পৌরসভার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ

জেনেও কেন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না, সেই বিষয়েই অভিযোগ তুলছেন তারা। বারবার বলেও কোনও সুরাহা হয়নি। আর নদীর জল বাড়াতে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গ্রামের দিকে ঢুকে পড়েছে। নদীগর্ভে তৈরী হয়েছে একাধিক মৃত্যু ফাঁদ। বালি তোলা, বালি স্টোর করা সবক্ষেত্রেই নদীর স্বাভাবিক গতিকে আটকে গায়ের জোরে বালি মাফিয়ারা নিজেদের সুবিধামতো করেছে বলে অভিযোগ ঝাড়গ্রামের বাসিন্দাদের। যার খেসারত দিতে হচ্ছে এই মূহুর্তে প্রায় ১০টি গ্রামকে।

advertisement

আরও পড়ুন: বিধায়কের কারসাজি? এলাকায় নোংরা কাজকর্মে মদত? নিজেদের পোস্টার নিজেরাই ছিঁড়ে অন্যের ঘাড়ে চাপানো? জানুন কী অবস্থা দেগঙ্গায়

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
চা বিক্রির টাকায় তিন বছরে ৬৯ হাজার কয়েন! মেয়ের জন্য স্কুটি কিনে চমকে দিলেন বাবা
আরও দেখুন

জানা যাচ্ছে, সেচমন্ত্রী যখন এলাকা পরিদর্শে এসেছিলেন তখন অভিযোগ জানানো হয়েছিল। তারপরও নদীগর্ভে চলে গেছে একাধিক জমি বাড়ি। তবুও হুঁশ নেই, কেন গ্রহণ করা হয় নি সুব্যবস্থা? বিরোধী বিজেপির তরফে বালিমাফিয়াদের দিকে সরাসরি আঙুল তোলা হচ্ছে। যদিও তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি জানান, বৃষ্টি কমলে কাজ শুরু হবে। কাজ কবে হবে সে দিকে তাকিয়ে গ্রামবাসীরা। তাদের বক্তব্য বালিতে রাশ না টানলে আগামী দিনে আরও বহুকিছু হারিয়ে যাবে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
অবৈধ বালি উত্তোলন, ভুগছে ১০ গ্রাম! তলিয়ে যাচ্ছে পোস্ট অফিস থেকে মন্দির, ঝাড়গ্রামে হেলদোল নেই প্রশাসনের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল