সুবর্ণরেখার ভাঙনে হারিয়ে যেতে বসেছে গোপীবল্লভপুরের প্রায় ১০ টি গ্রাম। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মালিঞ্চা, ছাতিনার। ইতিমধ্যে নদীগর্ভে খেলার মাঠ, কয়েক হেক্টর ফলের বাগান সহ একাধিক বাড়ি। গোপীবল্লভপুরের সঙ্গে যোগাযোগের ঢালাই রাস্তাও অর্ধেক নদীগর্ভে। আতঙ্কে গ্রামবাসীরাও খাওয়া দাওয়া বন্ধ। পাশেই ত্রাণ শিবিরে খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। বাকি সময় পাহারা। যেকোনও সময় গ্রামে জল ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা। নদী ভাঙন এই বাড়বাড়ন্তর জন্য গ্রামবাসীরা দায়ী করছেন বালি খাদানগুলিকে। কারণ এই এলাকায় বৈধ বালি খাদনের পেছনে একাধিক অবৈধ বালি খাদান চলে। যারা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বেহিসাবি বালি তুলছে। লাখ লাখ ট্রাক বালি পাচার হয়ে গেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কার বেতন কার ঘাড়ে! মৃত শিক্ষিকাকে নিয়ে টানাটানি! এগরা পৌরসভার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ
জেনেও কেন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না, সেই বিষয়েই অভিযোগ তুলছেন তারা। বারবার বলেও কোনও সুরাহা হয়নি। আর নদীর জল বাড়াতে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গ্রামের দিকে ঢুকে পড়েছে। নদীগর্ভে তৈরী হয়েছে একাধিক মৃত্যু ফাঁদ। বালি তোলা, বালি স্টোর করা সবক্ষেত্রেই নদীর স্বাভাবিক গতিকে আটকে গায়ের জোরে বালি মাফিয়ারা নিজেদের সুবিধামতো করেছে বলে অভিযোগ ঝাড়গ্রামের বাসিন্দাদের। যার খেসারত দিতে হচ্ছে এই মূহুর্তে প্রায় ১০টি গ্রামকে।
জানা যাচ্ছে, সেচমন্ত্রী যখন এলাকা পরিদর্শে এসেছিলেন তখন অভিযোগ জানানো হয়েছিল। তারপরও নদীগর্ভে চলে গেছে একাধিক জমি বাড়ি। তবুও হুঁশ নেই, কেন গ্রহণ করা হয় নি সুব্যবস্থা? বিরোধী বিজেপির তরফে বালিমাফিয়াদের দিকে সরাসরি আঙুল তোলা হচ্ছে। যদিও তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি জানান, বৃষ্টি কমলে কাজ শুরু হবে। কাজ কবে হবে সে দিকে তাকিয়ে গ্রামবাসীরা। তাদের বক্তব্য বালিতে রাশ না টানলে আগামী দিনে আরও বহুকিছু হারিয়ে যাবে।