এছাড়াও জয়নগরের নিমপীঠ কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হরিয়ানার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সুন্দরবনের বিভিন্ন শাকসবজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফসলগুলি সম্পর্কে গবেষণা করছেন। এমনকি সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকার প্রতিটি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে বাড়ির খাদ্যাভ্যাস এবং রোজনামচা অনুশীলন করেন তারা।
advertisement
এ বিষয় সঞ্চারী রায় নামে এক ছাত্রী তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের জীবন বৈচিত্র্য এবং খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করি। সেই অনুশীলনে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। সুন্দরবনের মানুষেরা যে পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করে তার মধ্যে পুষ্টির অভাব রয়েছে। পুষ্টিকর খাবার তারা গ্রহণ করলেও যে পরিমাণ খাবার গ্রহণ করলে শরীরের পুষ্টির পরিমাণ সঠিক মাত্রায় থাকে সেই পরিমাণ খাবার গ্রহণ করে না সুন্দরবনের মানুষেরা।
সঞ্চারী রায় আরও জানালেন, ‘‘এমনকী সুন্দরবনের বহু খোলা বাজারে যে সকল পণ্য বিক্রি হয় সে সকল পণ্যের বেশিরভাগ পণ্য এমন রয়েছে যেটি ফুডসেফটি স্বীকৃতি পণ্য নয়। সুন্দরবনের মানুষরা খাদ্যাভ্যাস নিয়ে অসচেতন। আমরা সুন্দরবনের একাধিক খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে ফসল সমস্ত কিছুই নিয়ে আমরা অনুশীলন করি।’’
এ বিষয়ে নিমপীঠ কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক ডক্টর চন্দন কুমার মণ্ডল জানালেন, ‘‘হরিয়ানার একদল ফুডসেফটি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০ জন ছাত্র ছাত্রী দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের নিমপীঠ কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের অন্তর্গত বনগিরি গ্রামে টানা ১০ দিন ধরে কৃষকদের সঙ্গে বিভিন্ন ফসল সংক্রান্ত বিষয় এবং তাদের প্যাকেট জাতকরণ নিয়ে অনুশীলন করেন। অনুশীলনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কৃষকদের কাছ থেকে ছাত্রছাত্রীরা গ্রহণ করে এবং কীভাবে সুন্দরবনের এই সকল জিনিস বিশ্ব বাজারে প্রাধান্য দেওয়া যায় সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।’’
তাঁর মতে, ‘‘এই দশ দিনের অনুশীলন শিবিরে কৃষকদের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের নিবিড় বন্ধন তৈরি হয়েছে।আগামী দিনে এই অনুশীলনের পর এলাকায় কর্মসংস্থান বাড়বে বলে আমরা মনে করছি।’’ এ বিষয়ে ড: প্রদীপ কুমার বড়াই জানালেন, ‘‘এই অনুশীলনের মধ্যে যেমন ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞান বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি এলাকার কৃষকরা তাদের ফসলের গুণগত মান নিয়েও সচেতন হয়েছেন। এর ফলে দু’তরফেই একটি নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ফলে আগামী দিনে বহু মানুষ উপকৃত হবে।’’
সুমন সাহা