জানা গিয়েছে, হলদিবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শ্রেণিকক্ষের অবস্থা বেশ খারাপ। বেশ কয়েক জায়গায় দেওয়ালে ফাটল ধরে রয়েছে। ছাদেও চির ধরেছে। স্কুলের ভবন তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছিল কয়েক লক্ষ টাকা। অভিযোগ, ঠিকাদারি সংস্থা সেই কাজ অসম্পূর্ণ রেখে চলে যায়। এরপর থেকে আর কাজ হয়নি। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে মালদহ জেলা প্রশাসন।
advertisement
বিদ্যালয় সূত্রে খবর, ২০১৭ সালে বন্যার সময় ফাটল সৃষ্টি হয় স্কুল ভবনে। সেই সময় এক স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার ঠিকাদারি সংস্থা সংস্কারের বরাত পায়। কিন্তু, ওই ঠিকাদারি সংস্থা কাজ শেষ করেনি বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। এমনকি বারবার বলেও কাজ হয়নি। এই অবস্থায় কবে স্কুলের শ্রেণিকক্ষ বা ছাদের সংস্কার হবে তা অনিশ্চিত। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন অভিভাবকেরাও৷ স্কুলে শিশুদের পাঠানো কতটা নিরাপদ এই বিষয়টি ভাবাচ্ছে অভিভাবকদেরও।
আরও পড়ুন, ‘‘পঞ্চায়েতে বুথ দখল চলবে না, যে দলেরই হোক’’, অবাধ ভোটের সওয়াল অভিষেকের
অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ হওয়ার জন্যই বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ফাটল হয়ে থাকতে পারে। এর মধ্যে কোনওরকম দুর্নীতি রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন, 'জঙ্গলমহলের ঢোকার রাস্তাটাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতেন না,' তোপ শুভেন্দুর
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাদিকুল হক বলেন, ২০১৭ সালে বন্যার সময় ফাটল তৈরি হয়। যে ঠিকাদারি সংস্থা কাজ করছিল, তাঁরা কাজ অসম্পূর্ণ রেখে চলে যায়। আমরা পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে অভিভাবকদের বলব, আতঙ্কিত না হয়ে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠান। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, অভিভাবকদের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরে বিডিওকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে অভিভাবকদের সঙ্গেও কথা বলবে ব্লক প্রশাসন। এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।