ভোন্দু ওরফে দুর্গাদাস কর। তিনি আসলে এই এলাকার একজন সাধারণ চা ও তেলেভাজা বিক্রেতা। তার দোকানের তেলেভাজা এলাকায় খুবই জনপ্রিয়। যার কারণেই মূলত তার নামেই পুরুলিয়ার এই মোড়ের নাম সরকারি ভাবে রাখা হয়েছে ‘ভোন্দুর মোড়’।
আরও পড়ুন : পোস্টমাস্টার থেকে লোকসংস্কৃতির প্রহরী! হারানো গান, নাচ আর লোকনাট্য ফিরে পেল জীবন
advertisement
এই মোড়ের নামকরণ প্রসঙ্গে ভোন্দু বাবু ওরফে দুর্গাদাস কর বলেন, “চা-তেলেভাজার দোকান করি বলে কোনও খেদ নেই। বরং গর্ব হয়, কারণ আমার নামেই এখন এলাকার নাম হয়ে গেছে। আগে এখানে কিছুই ছিল না, শুধু আমার এই দোকানটাই ছিল। তখন থেকেই লোকমুখে জায়গাটাকে ‘ভোন্দুর মোড়’ বলা হতো। আজ সেটাই সরকারি নাম।”
আরও পড়ুন : চোখ ধোঁকা খাবে, ছোট্ট দেশলাই বাক্সে ‘ক্রিকেটের ভগবান’! শচীনকে এভাবে আগে কেউ দেখেছেন?
তার জীবনটা ঠিক যেন এক অনুপ্রেরণার গল্প। মাত্র অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে, ১৫ বছর বয়সেই সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। ১৯৬০ সালেই খুলে ফেলেন চা ও তেলেভাজার ছোট্ট একটি দোকান। সেই ছোট্ট দোকানই আজ রঘুনাথপুর শহরের অন্যতম পরিচিত স্থান, যার আশপাশে আজ গড়ে উঠেছে অসংখ্য দোকান, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ভোন্দু বাবুর দোকানের খাবারের স্বাদ যেমন দুর্দান্ত, তেমনই তাঁর ব্যবহারও মন জয় করার মত। ৮১ বছর বয়সেও ভোন্দু বাবু এখনও পুরোপুরি ফিট রয়েছেন। ভোর সাড়ে তিনটেয় প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে দোকান খোলেন, নিজেই সবকিছু তৈরি করেন। এতটুকু ক্লান্তি নেই তার কণ্ঠে বা শরীরে। জীবনের প্রতি প্রবল ভালোবাসা এবং কাজের প্রতি নিষ্ঠা যেন তাকে আজও তরুণ করে রেখেছে। আজ ভোন্দু বাবু রঘুনাথপুরবাসীর চোখে শুধুই একজন চা বিক্রেতা নন, তিনি এক জীবন্ত কিংবদন্তি।