বাংলা ও বাংলার বাইরে বিভিন্ন কারখানা থেকে ধুলো বা বর্জ্য মাটি বস্তায় ভরে নিয়ে আসেন মহাজনরা। সেই ধুলো-মাটি জলে ধুয়ে নিলে মাটি গলে যায়, আর নিচে পড়ে থাকে ধাতুর গুঁড়ো। সেই গুঁড়ো শুকিয়ে বিক্রির উপযোগী করা হয়। এভাবেই এক ফোঁটা ঘাম, এক চামচ ধাতু আর অসীম ধৈর্যের মিশেলে ঘোরে ওদের সংসারের চাকা।
advertisement
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় এই কাজ। টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে বুক সমান জলে দাঁড়িয়ে ধুলো ধুয়ে ধাতু আলাদা করেন শ্রমিকরা। দিনের শেষে আয় হয় ৪০০ থেকে ৫০০ বা ৬০০ টাকা। এই এলাকায় প্রায় পাঁচ শতাধিক পুরুষ ও নারী এই পেশার সঙ্গে যুক্ত।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে এই পরিশ্রম স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই প্রতিকূল। ধাতু মেশানো ঘোলা জল, রাসায়নিক বর্জ্য, ও অপরিষ্কার পরিবেশে সারাদিন কাজ করায় অনেকেই ত্বক ও শ্বাসযন্ত্রের রোগে ভোগেন। তবু পেটের দায়ে থেমে থাকে না তাঁদের লড়াই। এই মানুষগুলোর জীবনের গল্প শহরের ব্যস্ততার ভিড়ে হারিয়ে যায় প্রতিদিন। অথচ ওদের পরিশ্রমেই পুনর্জীবন পায় কারখানার বর্জ্য, আর টিকে থাকে অজস্র ক্ষুধার্ত পেট।