পূর্ব বর্ধমান জেলায় গলসি, বর্ধমান, খণ্ডঘোষ, রায়না, শক্তিগড়, জামালপুর, আউশগ্রাম মঙ্গলকোট, মাধবডিহি থানা এলাকায় বেআইনি বালি পাচার চক্র সক্রিয় বরাবরই। অভিযোগ, লিজ নেওয়ার পর নির্দিষ্ট করে দেওয়া সীমানার বাইরে থেকে প্রচুর পরিমাণ বালি বেআইনিভাবে তুলে নেওয়া হয়। অভিযোগ, ভুয়ো চালান দেখিয়ে বালি পাচারে সক্রিয় মাফিয়ারা। এর উপর রয়েছে ওভার লোডিং। বেআইনিভাবে বালি পাচারের ফলে ক্ষতি হয় রাজস্বের।
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রত গ্রেফতার, জেলে বসেই খবর শুনে অবাক করা প্রতিক্রিয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের!
জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের এক আধিকারিক জানান, এই সময় আবার প্রচুর পরিমাণ মজুদ বালি নজর এসেছে। বালিঘাটের মালিকরা কতটা পরিমাণ বালি মজুদ করতে পারবেন তা লিজ নেওয়ার সময় তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে অনেকেই বেআইনিভাবে অনেক বেশি পরিমাণে বালি মজুদ করে রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধেই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'সবে দুটো উইকেট পড়েছে', অনুব্রতর পর বড় আশঙ্কা উসকে দিলেন দিলীপ ঘোষ! নিশানায় কে?
প্রতি বছরের মতো এবারও এই বর্ষার মরশুমে নদী থেকে বালি তোলার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি হয়েছে। সেই নির্দেশ অমান্য করে অনেক জায়গায় বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন থানা এলাকায় এই কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছেগাড়ি। অভিযোগ, বেআইনিভাবে তোলা সেইসব বালি মজুত করা বালির সঙ্গে রাখা হচ্ছে। তার ফলে মজুত বালি নিয়মিত বিক্রি হলেও বালির পাহাড়ের উচ্চতা কমছে না। খণ্ডঘোষ, আউশগ্রাম-সহ বেশ কিছু এলাকায় এরকম বালির পাহাড় নজরে এসেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালি তোলার বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালানো হচ্ছে। নজরদারি কমিটিকে আরও সক্রিয় হতে বলা হয়েছে। এছাড়াও কার কতটা বালি মজুত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিয়ম বিরুদ্ধভাবে যারা বালি মজুত করেছে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হচ্ছে।