#কলকাতা: বৃহস্পতিবার সকালেই বোলপুরের নীচুপট্টিতে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই গোয়েন্দারা। ১০-১২টি গাড়ির কনভয় নিয়ে পৌঁছন সিবিআই অফিসাররা। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়ি ঘিরে ফেলা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গরুপাচার মামলায় সিবিআই-এর হাতে আটক হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতর মণ্ডল। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিবিআই-এর তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়, গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। এই খবরে যখন তোলপাড় চলছে বাংলায়, তখন প্রেসিডেন্সি জেলের ‘পহেলা বাইশ’ ওয়ার্ডের দু’নম্বর সেলের বাইরে ঘোরাঘুরি করছিলেন এসএসসি কাণ্ডে জেল হেফাজতে থাকা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেল সূত্রের খবর, অনুব্রত গ্রেফতার হয়েছেন শোনা মাত্রই পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, ''ও-ও কি এই জেলেই আসবে?
বস্তুত একের পর এক মামলায় প্রবল চাপ বাড়াতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। শুধু তাই নয়, গ্রেফতার হচ্ছেন একের পর এক তৃণমূল শীর্ষ নেতা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ায় আরও চাপ বেড়েছে তৃণমূলের উপর। এরই মধ্যে ইডি সূত্রের খবর, শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নন, তার পরিবারে অন্য সদস্যরাও আর্থিক দিক থেকে লাভবান হয়েছেন। এমনই তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র।
আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল, বিবৃতিতে জানিয়ে দিল সিবিআই
এই তথ্যই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কফিনে শেষ পেরেক বলেই মত ওয়াকিবহল মহলের। হেফাজতে থাকাকালীন তদন্তে অসহযোগিতা ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সঙ্গে তেমন কোন সম্পর্ক না থাকার কথা জানালেও তথ্য কিন্তু বলছে অন্য কথা। এমন এক নথি সামনে এসেছে তাতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শুধু মুখ চেনা সম্পর্ক নয়, আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক সামনে এনেছে। তাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী, কন্যা ও জামাই সমভাবে জড়িত তার তথ্য প্রমাণ ইতিমধ্যেই হাতে পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা ইডি।
আরও পড়ুন: আর পথ নেই পার্থর! এক নথিতেই সব ফাঁস, পরিবারের দিকে চোখ দিতেই চক্ষু চড়কগাছ ইডি-র
সূত্রের খবর, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিটি রোডের অভিজাত আবাসনের যে ফ্ল্যাট টিকে বিভিন্ন সংস্থার ঠিকানা হিসেবে দেখানো হয়েছে তারই একটি অনন্ত texfab প্রাইভেট লিমিটেড। এই সংস্থার তথ্য খতিয়ে দেখতে গিয়ে ইডি কর্তারা জানতে পেরেছেন আদতে এই সংস্থার ১০০ শতাংশ শেয়ার ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের তিন সদস্যের নামে।
এই টেক্সটাইল সংস্থায় পনেরো শতাংশ শেয়ার ছিল তার স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের নামে। এছাড়াও ৭৫ শতাংশ তার মেয়ে সোহিনী চট্টোপাধ্যায় ও দশ শতাংশ জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য নামে শেয়ার ছিল। তথ্য বলছে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই তিনজনেরই শেয়ার ছিল টেক্সটাইল সংস্থা অনন্ত টেক্সফাব প্রাইভেট লিমিটেডে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Anubrata Mondal, Partha Chatterjee