মহকুমার নদী বাঁধ এলাকার মানুষজন, বিশেষ করে মুণ্ডেশ্বরী এবং দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় বাজি তৈরি হত। টিনের চাল এবং মাটির বাড়িতে চলতো গোপনে বাজি তৈরি। বর্তমানে সেগুলি পরিত্যক্ত বাড়িতে পরিণত হয়েছে। জানা গিয়েছে গ্রিনবাজি তৈরি এবং বিক্রির জন্য এবার থেকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। প্রশাসনের অনুমোদন পেলেই তৈরি করা ও বিক্রি করা যাবে। পুজোর আগেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
advertisement
উল্লেখ্য, সামনেই দুর্গাপুজো। যতত্ত্র জায়গায় এবার থেকে বাজি তৈরি করা যাবে না। প্রশাসন বাজি বিক্রি করার জন্য যে জায়গা চিহ্নতি করে দেবে সেখানেই বাজি তৈরি করতে হবে। নির্দেশ অমান্য করলে করা পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই মহকুমার মধ্যে খানাকুলের নতিপুর, চিংড়া, গনেশপুর, গোঘাটের বালি, মান্দারণ, পশ্চিমপাড়া, দামোদরপুর, সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বাজি তৈরি হত। বর্তমানে হাতে গোনা কয়েকটি জায়গায় গ্রিন বাজি তৈরি করা হয়। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে খুশি বাজি শিল্পীরা।
আরও পড়ুনঃ ICC World Cup 2023: বিশ্বকাপে রোহিত শর্মা গড়তে পারেন ৫ মহারেকর্ড, ভাঙতে পারে সচিনের নজির
এই বিষয়ে বাজি শিল্পীরা জানান, বেশ কিছু এলাকায় বাজি তৈরি করা হলেও আইনিভাবে বন্ধ করা হয়েছিল। তারপর থেকেই প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। এমত অবস্থায় বহুদিন বাজি তৈরি এবং বিক্রি একেবারেই ছিল না। সামনে পুজোর আগেই রাজ্য সরকার গ্রিন বাজিতে ছাড়পত্র দেওয়ার ফলে অনেকেই রোজগারের পথ দেখবে।
Suvojit Ghosh