সাফাই কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ চুক্তিভিত্তিক কর্মী সকলেই দিন রাত খেয়াল রাখছেন অজ্ঞাত পরিচয় ঐ ব্যক্তির। মল, মূত্র পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে ড্রেসিং করা সময় মত তাঁকে খাবার, ওষুধ খাওয়ানো সবেরই খেয়াল রাখছেন তাঁরা। মাত্র তিনদিনেই এঁরা পরম আত্মীয় হয়ে উঠেছেন পাগলা বাবার।
আরও পড়ুন: আইআইটি খড়গপুরের ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরি অনন্য নজির গড়েছে
advertisement
দিন তিনেক আগে ক্যানিং বৈতরণী বৈদ্যুতিক চুল্লির কাছে পড়ে থাকা এক মুমূর্ষু রোগীকে ক্যানিং থানার পুলিশ উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। ঐ ব্যক্তির পায়ে গভীর ক্ষত ছিল। সেই ক্ষত এতটাই গভীর ছিল যে পায়ের মাংস পচে গিয়ে সেখানে পোকা হয়ে যায়। পাশাপাশি ঐ ব্যক্তি শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। কে বা কারা ঐ ব্যক্তিকে সেখানে ফেলে গেছে সে বিষয়ে পুলিশ এখনও কিছুই জানতে পারেনি। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ক্যানিং থানার টহলরত পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করেন অজ্ঞাত পরিচয় ঐ ব্যক্তিকে। ঠান্ডায় রীতিমত কাঁপছিলেন তিনি। কোনও কথাই বলতে পারছিলেন না। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েই দায় সারেন পুলিশকর্মীরা। চিকিৎসকরা চিকিৎসা করলেও ঐ রোগীকে দেখাশুনার জন্য কেউই ছিলেন না হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের সাধারণ কর্মীরাই পরমাত্মীয়ের মতো এগিয়ে আসেন।
সুমন সাহা