স্কুল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, অর্জুনপুর হাইস্কুলে মোট শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ৬৭ জন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে গোটা প্যানেল বাতিল হওয়ায় চাকরি হারিয়েছেন ৩৬ জন। ফলে বর্তমানে এই স্কুলে মোট শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা একধাক্কায় প্রায় অর্ধেকে এসে ঠেকেছে।
একসঙ্গে এতজন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হওয়ায় কীভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা হবে? তা নিয়ে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে এই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়ার সংখ্যা ৮ হাজার ৩৪ জন। সামনেই রয়েছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ভর্তি। সেক্ষেত্রে মোট পড়ুয়া সংখ্যা হতে পারে প্রায় ৯ হাজার। ফলে, শিক্ষকের সংখ্যা কমে গেলে তা প্রভাব ফেলবে পঠন-পাঠনেও।
advertisement
এই প্রসঙ্গে, ফারাক্কার অর্জনপুর হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি হাবিব পারভেজ জানান, “গতকালের রায়ে মোট ৩৬ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। বোঝা যাচ্ছে না কীভাবে স্কুলটা চলবে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হবে। যেভাবেই হোক স্কুলের পঠনপাঠন সচল রাখার চেষ্টা হবে।”
কিন্তু, স্কুল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, একসঙ্গে এতজন শিক্ষক শিক্ষিকা চলে যাওয়ায় কীভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা হবে তা নিয়ে চিন্তা যেমন রয়েছে, এরই মধ্যে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখাও রয়েছে। সব মিলিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছে তাঁরা।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম রায়ে চাকরি গেল একই স্কুলের ১১জনের, খেজুরির শতাব্দী প্রাচীন স্কুলে পঠন-পাঠন শিকেয়
জানা গিয়েছে এই বিদ্যালয়ে মোট ৬৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। তার মধ্যে প্যারা টিচার আছেন ৭ জন। বিদ্যালয়ের মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৯৫০০ জন। তবে ২০১৬ প্যানেল বাতিল তালিকায় রয়েছে ২৯ জন শিক্ষক ও ৭ জন শিক্ষিকা। এরপরে কী হবে? এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের প্রহর গুনছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা।