মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা এক ভূগোলের শিক্ষক বীরভূম জেলায় কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষাতে চাকরি পাওয়ার পর বীরভূম জেলায় কর্মরত ছিলেন। কয়েক বছর চাকরি করেছেন নবম-দশমে। মুর্শিদাবাদ জেলার এক পাত্রীর সঙ্গে বিবাহ ঠিক হয় তাঁর। আগামী বাংলার নতুন বছর, পয়লা বৈশাখে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু চাকরি চলে যেতেই বিয়ে ভেঙে দিল পাত্রীপক্ষ। যার কারণে হৈ চৈ মুর্শিদাবাদে। দুই পরিবারে এখন বিষাদের সুর।
advertisement
জানা গিয়েছে, সব কিছুই ঠিক ছিল। আগামী বৈশাখ মাসে বিয়ের দিন ছিল। বিয়ের জন্য কার্ড ছাপিয়ে তা ইতিমধ্যেই বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিয়ের সমস্ত রকম গয়না থেকে পোশাক সব কিছুই কেনা হয়েছিল আগেই। যদিও এরই মধ্যে ঘটে গেল বিপত্তি। কয়েকদিন আগে হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ফলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের। ভবিষ্যৎ ঝুলে রয়েছে তাঁদের।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কে ঢুকে মহিলা বললেন, ‘টাকা তুলব’! চেক দিলেন ক্যাশিয়ারের হাতে, তারপর? এ কী লেখা?
কলকাতায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস দেওয়ার পরেও কোনও সুরাহা মেলেনি বলে দাবি বিয়ে ভেঙে যাওয়া ওই শিক্ষকের। ফলে এক চরম সিদ্ধান্ত নেয় পাত্রীপক্ষ। শিক্ষকের দাবি, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করা হোক। আমরা যোগ্য না অযোগ্য তা সবাইকে প্রমাণ দিতে গিয়ে আমাদের পরিবার এখন চরম প্রশ্নের মুখে।’
শিক্ষকের পরিবারে মা-বাবা-দিদি রয়েছেন। সকলের ইচ্ছে ছিল ধুমধাম করেই বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। কিন্তু সেই বিয়ে ইতিমধ্যেই কন্যাপক্ষ বাতিল করেছে বলেই জানা গিয়েছে। যদিও কন্যাপক্ষের দাবি, ‘এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। বিয়ে ভেঙে যাওয়া এটা পারিবারিক সিদ্ধান্ত।’
কৌশিক অধিকারী