আরও পড়ুনঃ খালি পেটে রোজ খান এই জল! ওজন কমবে হুহু করে, ডায়াবেটিস থাকবে বশে, দূর হবে পেটের যে-কোনও সমস্যা
পাঁচথুপি গ্রামের হাতিবাগানে ‘পঞ্চায়তন’ শিব মন্দিরটি একটি নিদর্শন। এই শৈলীর মন্দির বিরল। একই ভিত্তিবেদির উপর চারকোণে একই আকৃতির চারটি দেউল ও কেন্দ্রস্থলে একটি বড় দেউল অধিষ্ঠিত। মন্দিরটি স্থানীয়দের কাছে ‘নবরত্ন’ মন্দির বলে পরিচিত।
advertisement
মন্দিরের সেবাইতরা জানান, আসলে বড় দেউলটির ভিতরের মাঝখানে একটি বড় শিবলিঙ্গ ও চার কোণে চারটি ছোট ছোট শিবলিঙ্গ এবং চারটি ছোট দেউলে চারটি শিবলিঙ্গ মোট নয়টি শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত। তাই ‘নবরত্ন’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। আসলে এটি ‘পঞ্চায়তন’ মন্দির। মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন পাঁচথুপির জমিদার জগন্নাথ ঘোষহাজরা। এই ‘পঞ্চায়তন’ মন্দির আর একটি আছে বর্ধমান জেলার বৈকুণ্ঠপুরে। পূর্বমুখী মন্দিরের দেওয়ালে টেরাকোটার অলংকার বর্তমান। এই মন্দিরের অন্যতম আকর্ষণ হল টেরাকোটার কাজ। শ্রাবণ মাসে প্রতি সোমবার ভক্তদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তরা আসেন এই মন্দিরে নিজের মনস্কামনা নিয়ে জল ঢালতে।
এই মন্দিরে টেরাকোটার মূল আকর্ষণ হল রামরাবণের যুদ্ধ, দশাবতার, মহিষাসুরমর্দিনী, কালী, সরস্বতী, কার্তিক, বেণুকৃষ্ণ, বিষ্ণু, ঘোড়সওয়ার, হাতি, হংস সারি, ফুলকারী নকশা ইত্যাদি। খ্রিস্টীয় আঠার শতকের মধ্যভাগে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয় জমিদার জগন্নাথ ঘোষহাজরা। মন্দিরের শিবলিঙ্গগুলি নিত্য দিন পূজিত হয়।
কৌশিক অধিকারী