প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে শেষ বার বিশ্বভারতীর আশ্রম মাঠে সর্বসাধারণকে নিয়ে ঐতিহ্যবাহী বসন্তোৎসব করেছিল কর্তৃপক্ষ। সেবার অত্যাধিক ভিড়ে নষ্ট হয়েছিল বিশ্বভারতীর বহু জিনিস। ক্যাম্পাস জুড়ে মিলেছিল বস্তা বস্তা প্ল্যাস্টিক। ঘটনার সমালোচনায় সরব হয় বিভিন্ন মহল। এরপর ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় উৎসব। ২০২১ সালে তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বসন্তোৎসবে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন। তার পরে ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনেসকো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা দিয়েছে।
advertisement
এরপর ইউনেস্কোর ঠিক করে দেওয়া বিভিন্ন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্থানে সাধারণ পর্যটকদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেওয়া হয়।এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না। ১৪ মার্চ দোলের দিন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বসন্তোৎসব করছে না।তার পরিবর্তে ১১ মার্চ যে বসন্তোৎসব করছে তাতেও বহিরাগতদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত গত বছর স্থানীয় নেতৃত্বদের তরফ থেকে গত বছর বসন্ত উৎসব পালন করা হয়েছিল সোনাঝুরির হাটে। কিন্তু সেখানে কয়েক লক্ষ পর্যটকদের সমাগমে যানজটের ফলে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা বোলপুর শহর।বোলপুর সোনাঝুরির হাটে একের পর এক গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
আপনার কি ‘সুগার’ আছে? ছোট্ট এই কাজ করুন…ওষুধ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণে আসবে রক্তের শর্করা!
তাই বন সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী এবার সোনাঝুরি জঙ্গলে বসন্তোৎসব নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জঙ্গলে আবির খেলা যাবে না। গাড়ি পার্কিং করা যাবে না, কোনও রকম ভিডিয়োগ্রাফিও করা যাবে না।ওড়ানো যাবে না ড্রোনও। তবে সোনাঝুরির হাটে বসন্ত উৎসব না হলেও হাট খোলা থাকবে।পর্যটকেরা সেখানে এসে কেনাকাটা করতে পারবেন। তবে পর্যটকের আশাবাদী এ বছর বসন্ত উৎসব না হলেও আগামী বছর হয়তবসন্ত উৎসব পালন করা হবে বোলপুর শান্তিনিকেতন।
সৌভিক রায়