পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সর্বত্রই ধান ও পানের চাষ হয়। পাঁশকুড়া, কোলাঘাট-সহ কিছু ব্লকে ফুলের পাশাপাশি সবজির চাষ হয়। আবার অন্য দিকে পটাশপুর, এগরা-সহ বেশ কিছু জায়গায় বাদাম ও তৈল বীজের চাষ হয়। তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মশলা চাষের পরিসর নেই বললেই চলে। সরকারিভাবে এবার এই মশলা চাষ শুরু হল। পেঁয়াজ, আদা, হলুদ, ধনিয়া, জিরা, মৌরি-সহ বিভিন্ন ধরনের মশলা চাষ শুরু হয়েছে সরকারি উদ্যোগে। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার আর্থিক অনুকূল্যে মশলা চাষে জোর দেওয়া হয়েছে জেলা জুড়ে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আরও পড়ুন: ভারত-বিদ্বেষের ফলে নয়া সঙ্কটে বাংলাদেশ! ইউরোপে ঢোকা বন্ধ হতে পারে, মাথায় হাত বাংলাদেশিদের
সিএডিসি তমলুক প্রোজেক্টের উদ্যোগেই ভগবানখালীতে ৫১ একর জায়গাতে মশলা চাষ শুরু হয়েছে। জেলা শুধু মশলা চাষ নয়, মশলা চাষের পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতির হাল ফেরাতে। মশলা চাষের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করা হয়েছে গ্রামের মহিলাদের। এর পাশাপাশি সহজেই বাড়িতে কিভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় মশলা চাষ করা যায় তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সিএডিসি তমলুক প্রজেক্ট এর ডেপুটি প্রজেক্ট অফিসার, ডক্টর উত্তম কুমার লাহা বলেন, ”পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সেভাবে মশলা চাষের পরিসর নেই। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা টাকায় মশলা চাষে জোর দেওয়া হয়েছে। জিরে, মৌরি, ধনিয়া, আদা, হলুদ বিভিন্ন মশলা চাষ শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি মহিলাদেরকে মশলা চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: কলকাতার জন্য বড় বিপদ, তলিয়ে যেতে পারে শহরের একাংশ! কলকাতা বাঁচাতে তৎপর পুরসভা
সরকারি উদ্যোগে এই মশলা চাষ ভালই সাড়া পড়েছে বলে জানা যায় সিএডিসি পক্ষ থেকে। একদিকে যেমন গ্রামের স্বনির্ভর দলের মহিলারা মশলা চাষের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। মহিলারা প্রশিক্ষণ নিয়ে বাড়িতে মশলা চাষ করছে। এর ফলে গ্রামের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো অনেকটাই মজবুত হচ্ছে। বর্তমানে তমলুক চণ্ডীপুর ও খেজুরির মত ব্লকে মশলা চাষ চলছে। আগামী দিনে জেলার প্রতিটি ব্লকে মশলা চাষের পরিসর বাড়াতে উদ্যোগী সিএডিসি।