আরও পড়ুনঃ ভোট মিটে গেলেও সন্ত্রাস অব্যাহত মুর্শিদাবাদে! ধারাল অস্ত্রের কোপ প্রাক্তন প্রধানকে
আশেপাশে বহু চায়ের দোকান রয়েছে। তবে, পুচার চা অন্যদের চেয়ে একেবারেই আলাদা। বলছেন, এই চা খেতে দোকানে আসেন ক্রেতারা। দোকানে এলে দেখা মিলবে, দলে দলে চা খোড়দের সঙ্গে। একদল যায় তো অন্য দল আসে। তাঁদের অনবরত জোগান দিয়ে চলেছেন মাটির ভাঁরে গরম চা। যারা এই দোকানে নিয়মিত আসে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই জানালেন, পুচার চা ছাড়া ঠিক দুপুরটা জমে না।
advertisement
কোনদিন কাজের চাপে মিস হলে ব্যাস, সেদিন সারাক্ষণ যেন আফশোস। এমন কেন হয় তা নিজেরাও জানে না। তবে কেউ কেউ জানালেন, এই দোকানে যে চা পাওয়া যায় তা আশপাশের কোথাও মেলে না। পরিমিত মিষ্টি এবং চা এ দুধও পরিমাণ মত, লিকার নিয়ে কথা হবেনা! সবমিলিয়ে যে কারণে ছুটে আসা। এই চা’য়ের স্বাদ গন্ধ টাই আলাদা। সকালে ঘুম ভাঙলে চা-এ চুমুক। সকালে এক কাপ চা ছাড়া অচল অনেকেই। আবার চা ছাড়া দিন শুরু একেবারে ভাবার উপায় নেই অনেকের কাছে।
শুধু সকালে চা, এমনটা কিন্তু নয়। সারা দিনে কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর চা। এমন অভ্যাস রয়েছে বহু মানুষের। তেমনি দুপুরে পুচার চা না খেলে চলেনা অনেকেরই। চা খেতেই ভিড় মানুষের। পাঁচলা বাউরিয়া রাজ্য সড়কে দেখা মিলবে সেই দোকান। যেখানে অসংখ্য মানুষ দাঁড়িয়ে। প্রায় সমস্ত বয়সের মানুষ আসেন চা খেতে।
দোকানে চা খেতে আসা ক্রেতা কৌশিক বনু জানান, ‘দোকানের শুরু থেকে প্রায় ১৪ বছর চা খাচ্ছি এই দোকানে। প্রায় প্রতিদিন চা খেতে আসি। যেদিন আসতে পারি না সেদিন আফসোস হয়। অন্যদিকে বিক্রেতা দিবাকর বাবু জানান, অল্প মার্জিন রেখে চা বিক্রি। শুরু থেকেই ইচ্ছে ছিল ভাল চা তৈরি করার। নামকরা চা দোকানে চা খেতে যাওয়া এবং লক্ষ্য রাখতাম। তা থেকেই নিজেদের চায়ের দোকানে ভাল চা তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া। প্রতিদিন কত চা কাপ সেল হয়। তার উত্তরে দিবাকর (পুচা) বাবু জানান, প্রতিদিন প্রায় ৯০০ থেকে ১০০০ কাপ চা বিক্রি হয়।
রাকেশ মাইতি