তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে জেলা প্রশাসন। স্থলভাগে প্রায় কয়েক হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয় তেমনি আকাশপথে হেলিকপ্টার ও ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়। জলপথে ওভারক্যাপ, স্পিডবোট এবং লাইভ বোর্ড এর মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়। জলভাগের নিরাপত্তার দায়িত্বভার নেয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও ভারতীয় নৌ বাহিনী। এবছর জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দুটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সারমেয়কে নিয়ে আসা হয়। ২৪ ঘণ্টা গঙ্গাসাগরে সমুদ্র সৈকতে টহল দিয়ে নজরদারি করছে বস্কো ও ম্যাক্সি। জলপথে নজরদারি চালাচ্ছে।
advertisement
এর পাশাপাশি, এই গঙ্গাসাগর মেলায় দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটক ও পূণ্যার্থীযাতে নির্বিঘ্নে গঙ্গাসাগরে স্নান পর্ব সেরে ফিরতে পারেন তার জন্য বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। অনুমানিক কয়েক লক্ষ মানুষ এর সমাগমে প্রত্যেক বছরই গঙ্গাসাগরে আসেন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী। তাদের এই নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য সরকারের জায়গায় জায়গায় হেলথ চেকআপ ক্যাম্প খুলেছে। বিশেষ শ্রদ্ধা সহায়তার জন্য ও তাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন-অকালে সব শেষ! চন্দ্রমৌলির মৃত্যুতে শোকে পাথর রূপম ইসলাম, কল্যাণীর মঞ্চে যা করল ফসিলস…
গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে চালানো হচ্ছে বিশেষ ট্রেন। ভিন রাজ্য থেকে আসা পর্যটক ও পূর্নার্থীরা গঙ্গাসাগরে যাতে কোনও ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন না হন তার জন্য রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসন কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করেছে। কলকাতার বাবুঘাট সংলগ্ন আউটট্রাম গঙ্গার ঘাটে বেশ কিছু বিশ্রাম শিবির তৈরি করা হয়েছে সাধু সন্ন্যাসীদের জন্য। সেখানে বিশেষ সুবিধা পানীয় জল, শারীরিক চিকিৎসার জন্য বুথ এবং সহায়তা কেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে গোটা চত্বরটাকে মুড়ে ফেলা হয়েছে ।
সুমন সাহা