আরও পড়ুন: অযোধ্যার ছোঁয়ায় কালনাতে ১৪ ফুটের রামমূর্তি
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের শিব নিবাসে ব্রিটিশ আমলে নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রাম-সীতা মন্দির গড়ে তুলেছিলেন। মাজদিয়া থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে এই শিবনিবাস গ্রাম। তৎকালীন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র বাংলায় বর্গী আক্রমণের সময় তাঁর রাজধানী নদিয়ার সদর শহর কৃষ্ণনগর থেকে সরিয়ে শিবনিবাসে নিয়ে এসেছিলেন। এখানে তিনি এক সুন্দর রাজপ্রাসাদ ও কয়েকটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তার মধ্যে এখন মাত্র তিনটি মন্দির অবশিষ্ট আছে। দুটি শিব মন্দির ও একটি রাম মন্দির। প্রতিটি মন্দিরের উচ্চতা ৬০ ফুট।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
রাম-সীতার মন্দিরটি উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত। আংশিক দালান আকারের কোঠার উপর একটি শিখর স্থাপিত যা অনেকটা বর্গক্ষেত্রাকার। দালানের প্রতিটি ছাদ সমদ্বিবাহু ট্রাপিজিয়াম আকৃতির এবং গর্ভগৃহের প্রতিটি ছাদ ত্রিভুজাকার না হয়ে অনেকটা ঘণ্টার লম্বচ্ছেদের মত বিরল আকৃতির। দালান ও শিখরের খিলানগুলি গথিক রীতি অনুযায়ী নির্মিত। প্রতিষ্ঠাকাল ১৭৬২ খ্রিষ্টাব্দ। বলা বাহুল্য, শিবনিবাসের এই মন্দিরগুলিতে টেরাকোটা’র কোনও কাজ নেই। ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে বিশপ হেয়ার সাহেব নৌকা করে ঢাকা যাওয়ার পথে এখানে নেমে মন্দিরগুলি দেখেন এবং মুগ্ধ হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন থেকে প্রকাশিত জার্নালে মন্দিরগুলির বিবরণ প্রকাশ করেন।
মৈনাক দেবনাথ