উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ এই গড়ের বেশ কয়েকটি মন্দির বা স্থাপত্যকীর্তি ইতিমধ্যেই ‘সংরক্ষিত পুরাকীর্তি’ বা ‘স্টেট প্রটেক্টেড মনুমেন্ট’-এর মর্যাদা পেয়েছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছেতে বেশ কয়েকবছর আগে গড়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে রানি শিরোমণি হেরিটেজ পার্কও। তৈরি হয় ৯টি কটেজ। চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয় বেশ কয়েকজন কর্মীকে।
advertisement
যদিও, অতিমারি পর্বের পরই ভেঙে পড়ে সার্বিক পরিকাঠামো। গত কয়েক বছর ধরেই গড় সংস্কারের দাবি তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা সহ ‘হেরিটেজ জার্নি’, ‘ভালোবাসি কর্ণগড়’ নামে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বছর খানেক আগে ফের রানি শিরোমণির গড়ের হাল ফেরানোর উদ্যোগ নেয় বর্তমান জেলা প্রশাসন। গড় দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় শালবনী পঞ্চায়েত সমিতিকে।
সেই সঙ্গেই নবরূপে গড় সংস্কারের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক উদ্যোগে মাসখানেক আগেই প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ হয় বলে জানা গেছে জেলা প্রশাসন সূত্রে।
শালবনির বিডিও রোমান মণ্ডল বলেন, “ঐতিহাসিক এই গড়টি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে হেরিটেজ কমিশনের তরফে অর্থ বরাদ্দের পর সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। পূর্ত দপ্তরের অধীনে কাজ করছে এই বিষয়ে বিশেষ পারদর্শী একটি সংস্থা। প্রাচীন মন্দির, আটচালা উদ্ধার হয়েছে। একইসঙ্গে শীতের শুরুতেই পর্যটকরাও আসা শুরু করেছেন।”
শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ বলেন, “বিভিন্ন সংগঠন ও পুরাতত্ত্ববিদদের তরফে গড়ের খননকাজেরও দাবি তোলা হয়েছে। আমরাও চাইছি মোগলামারির পর পশ্চিম মেদিনীপুরে আরও একটি ঐতিহাসিক পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠুক এই গড়কে কেন্দ্র করে।”
