এই ঘটনায় অভিযুক্ত জগন্নাথ সর্দার ও তাঁর পরিবার পলাতক। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্জুনের প্রতিবেশী জগন্নাথ। অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে মদ্যপ অবস্থায় অর্জুন তাঁর প্রতিবেশীর বাড়ির দরজায় লাথি মেরে চলে আসতেন। প্রথম কয়েকদিন এই নিয়ে জগন্নাথবাবুর পরিবার কিছু না বললেও পরবর্তী সময়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছিল।
advertisement
বারবার বারণ করা সত্ত্বেও অর্জুন শোনেননি বলে অভিযোগ। এরপর জগন্নাথের স্ত্রী অর্জুনের বাড়িতে এসে তাঁর স্ত্রীকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দেন। রাতে অর্জুন বাড়ি ফেরার পর স্ত্রী সে কথা জানান। রাতেই স্ত্রীকে নিয়ে জগন্নাথের বাড়ি যান অর্জুন। কথা কাটাকাটি থেকে দুই যুবকের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি যা পরবর্তী সময়ে চরম আকার নেয়। অর্জুনকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্ত্রী বাঁচাতে গেলেও লাভ হয়নি। মারধর থামাতে আক্রান্তের স্ত্রী আরও কয়েকজনকে ডাকতে যান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কিন্তু ফিরে এসে দেখেন, স্বামী অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। বেগতিক বুঝে এখান থেকে চম্পট দেয় জগন্নাথ ও তাঁর স্ত্রী। খবর পেয়ে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, মারধরের ফলেই মৃত্যু হয়েছে অর্জুনের। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।






