দক্ষিণ ২৪ পরগনার ওই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার প্রধান কারণ হিসেবে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গরমে এলাকার মাটির নিচে জলের লেয়ার অনেকটাই নিচে নেমে যায়। যার জেরে সাধারণ হ্যান্ড পাম্প কলগুলি থেকে জল পাওয়া যাচ্ছে না। গুটিকয়েক মানুষ যারা আর্থিকভাবে সম্পন্ন, তারা বাড়িতে সাবমার্সাবল বসিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু এলাকার বেশিরভাগ পরিবার কয়েক কিলোমিটার দূরের গোচরণ এলাকার পিএইচই (PHE) র ফাটা পাইপের জল সংগ্রহ করে দিন গুজরাণ করছেন। কেউবা পয়সা দিয়ে জল কিনে খাচ্ছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: পুকুরে সাঁতার কাটছিল ৮ ফুটের মহিলা কুমির! দেখেই ‘থ’ বাসিন্দারা! পুরোটা শুনলে কাঁটা দেবে গায়ে
এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার কথা ভেবে তা সমাধানের জন্যই ২০২১-২২ অর্থবর্ষে স্থানীয় বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিধায়ক তহবিল থেকে একটি জলের ট্যাঙ্ক ও বহন করার জন্য ট্রাক্টর দেওয়া হয়েছিল শংকরপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতকে। যদিও কোন এক অজানা কারণে সে জলের ট্যাঙ্ক ও ট্রাক্টর পড়ে রয়েছে রাস্তার ধারে, যা আগাছায় ঢেকে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে শংকরপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নোড় ও বলবলিয়া এলাকায় চরম পানীয় জলের সংকট থাকা সত্ত্বেও কেন বিধায়কের দেওয়া পানীয় জলের ট্যাংক ও ট্রাক্টর ব্যবহার করে পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে না।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কেন ওই এলাকার গরিব মানুষদের দূর থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করতে হচ্ছে, কাউকে বা টাকা দিয়ে জল কিনে খেতে হচ্ছে। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ বারবার তারা পঞ্চায়েত কে জানিয়েছে, কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। বিধায়ক জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে একটা সমস্যার কারণে বুস্টার পাম্প চালু করাতে বিলম্ব হচ্ছে। অতি সত্ত্বর বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও তার বিধায়ক তহবিল থেকে দেওয়া পানীয় জলের ট্যাঙ্ক ও ট্রাক্টর ব্যবহার না করে ফেলে রাখা হয়েছে কেন সে বিষয়েও তিনি খোঁজ করবেন বলে জানান।
সুমন সাহা