প্রতিদিন অফিস টাইমে কাজ, এরপর সেখান থেকে ফিরে বাকি সময়ে তৈরি করেন প্রতিমা। এভাবে জীবনের অনেকটা সময় অতিবাহিত করেছেন তিনি। ডায়মন্ডহারবার মহকুমা শাসকের অফিসে পিওনের পদে কাজ করেন তিনি। অফিসে কাজের চাপ বেড়ে যাওয়ায় একবার ঠাকুর তৈরির কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কাজ ছেড়ে মানসিক শান্তি তিনি পাননি। ফলে আবারও শুরু করেন এই কাজ।
advertisement
আরও পড়ুন: এক ছাদের তলায় কত কিছু! পুজোর আগে মেগা ধামাকা, ঢুঁ মারলেই মন গলে যাবে মহিলাদের
চাকরি পেলেও ভুলে যাননি পুরনো পেশাকে। বাপ-ঠাকুরদার পেশা আজও বাঁচিয়ে রেখেছেন অজানা এক তাগিদ থেকে। সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবারে বেরিয়ে যান। রাতে বাড়ি ফিরে প্রতিমা নির্মাণের কাজে নেমে পড়েন তিনি। ছোট মেয়ে খুকুমণি দাস ও স্ত্রী মিঠুরানি দাস গোকুলবাবুর কাজে সাহায্য করেন। গোকুলবাবুর হাতের কাজ সুন্দর। এবছর তিনি ১৭ ফুটের প্রতিমাটি ছাড়াও তৈরি করছেন একটি খেঁজুর পাতার প্রতিমা। এছাড়াও প্রতিমার পিছনের ক্যানভাস আঁকেন তিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে তাঁর সঙ্গে আরও ঠাকুর তৈরির জন্য একাধিক মৃৎশিল্পী রেখেছেন। তাদের মধ্যে একজন প্রণবেশ মন্ডল জানিয়েছেন, “ঠাকুর তৈরির ব্যাপারে মূল কাজ করেন গোকুলবাবু। বাকিরা অন্যান্য কাজ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা গোকুলবাবুকে এই কাজ করতে দেখছেন।” এ নিয়ে মৃৎশিল্পী গোকুল দাস জানিয়েছেন, “মায়ের কাজে আনন্দ বেশি। পরিশ্রম হলেও ক্লান্তি আসে না শরীরে।” এভাবেই রোজ কাজ করে চলেছেন গোকুলবাবু। তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন তরুণ প্রজন্ম।