আরও পড়ুনঃ রাতের অন্ধকারে মদের দোকানে হামলা! বোতল ভাঙচুর! পটাশপুরে হচ্ছে টা কী?
ঠিক মতো মাছ না পেলেই ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে যেতে হবে। কুলতলির কাঁটা মারি এলাকার মৎস্যজীবীদের মাছ ও কাঁকড়া ধরায় বাধা সৃষ্টি করছে। যার জন্য চরম সমস্যায় পড়েছেন সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা। গত তিন মাস ধরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও, পাস হাতে না পাওয়ায় মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে যেতে পারছেন না। এর ফলে তাঁদের জীবিকার উপর বড় ধরনের আঘাত এসেছে। চরম আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন মৎস্যজীবীরা।
advertisement
এখানকার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের এখনও জীবিকা মাছ এবং কাঁকড়া শিকার। তারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই পেশাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা রুটি রুজির জোগাড় করছেন। এমন অনেক উদাহরণ আছে যেখানে মাছ এবং কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের শিকার হয়েছেন বহু মৎসজীবি। তারপরেও জীবনকে বাজি রেখে এই পেশায় কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যদিও এখন বৈধ পারমিট থাকা সত্ত্বেও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে যেতে পারছেন না, কারণ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সমুদ্র উত্তাল থাকছে। আর সেই কারণে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একদিকে তারা মাছ ধরতে যেতে না পারায় অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অন্যদিকে স্থানীয় বাজারেও সামুদ্রিক মাছের সঙ্কট দেখা যাচ্ছে। এমন অবস্থায় মৎস্যজীবীরা বাধ্য হয়ে অন্য পেশায় চলে যেতে চাইছেন।