আরও পড়ুনঃ বাড়ি থেকে হঠাৎ একদিন নিখোঁজ! দেড় বছর পর মুর্শিদাবাদের যুবকের হদিস মিলল বাংলাদেশে, তারপর যা হল…
এই চক্রের মূল মাথা রাবিয়া বিবি। প্রথমদিকে একা কাজ করলেও পরে তার স্বামী-সহ আরও কয়েকজন যুক্ত হন। ট্রেন ছাড়িয়ে এবার ব্যাঙ্কে নজর দিতে শুরু করেছে দল। বিশেষত বয়স্কদেরই নিশানা বানানো হত। দলের লোকজন ব্যাঙ্কে ঢুকে খেয়াল করত কারা টাকা তুলছেন, কতটা টাকা তুলছেন এবং কোন ব্যাগে রাখছেন। এরপর রাবিয়া নিখুঁত ব্লেড কৌশলে ব্যাগ কেটে টাকা উধাও করে দিতেন। এতটাই সাবলীল ছিল এই কাজ যে টের পাওয়ার আগেই খেল খতম।
advertisement
সম্প্রতি সোনারপুরের এক ব্যাঙ্ক থেকে তপতী সরকার নামে এক মহিলা এক লক্ষ টাকা তোলেন। ব্যাঙ্কের বাইরে চা খেতে দাঁড়াতেই রাবিয়া ও তার সঙ্গীদের ফাঁদে পড়েন তিনি। অভিযোগ দায়ের হতেই সোনারপুর থানার পুলিশ তদন্তে নামে এবং শেষমেশ রাবিয়া বিবি ও মিতা পুরকাইতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারুইপুর, জয়নগর থেকে শুরু করে উত্তর ২৪ পরগনার রহড়া পর্যন্ত রাবিয়ার একাধিক ঘাঁটি রয়েছে। শুধু তাই নয়, দুই ২৪ পরগনা ছাড়াও হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, বীরভূম ও বাঁকুড়ায় ছড়িয়ে রয়েছে এই চক্রের জাল। বহুবার ধরা পড়লেও আবারও একই কায়দায় সক্রিয় হয়ে ওঠা রাবিয়ার দাপট শেষ পর্যন্ত পুলিশের ফাঁদে আটকাল।