বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না। পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে বারে বারে ওঠার জন্য নিষেধ করা হয়। তা সত্ত্বেও জোর করে ওঠেন তিনি। এরপর সুনামি রাইড চলাকালীন কোমরে বাঁধা বেল্টটি খুলে ফেলেন। ফলে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু রাই রাইটের কর্তৃপক্ষের কর্মীরা তাঁকে ধরে ফেলেন। ফলে বরাতজোরে প্রাণে রক্ষাপান তিনি। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এই মিলন মেলায় দু’বছরই দুর্ঘটনা ঘটছে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পড়ে যাওয়ার ভিডিও দেখেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : সিসি ক্যামেরায় চাঞ্চল্যকর দৃশ্য, হাওড়ায় বাইক শোরুমে দুষ্কৃতী হানা! উধাও কয়েক লক্ষ টাকা, নষ্ট নথি
তিনি বলেন, প্রতিবছর যদি এভাবে দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে প্রশাসন কেন নিরাপত্তা আরও আঁটোসাটো করছে না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। এছাড়াও এই মেলা ঘিরে উঠছে নানা অভিযোগ। অনেকের অভিযোগ করছেন, রাস্তায় বিভিন্ন রকম যানজট সৃষ্টি হয়। বারুইপুর জয়নগর মেন রোডে সামনেই বারুইপুর হাসপাতাল। কিন্তু এই যানজটের ফলে অ্যাম্বুল্যান্স আটকে পড়ে। ফলে আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন রোগীরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনি এও বলেন মেলা করুক, কিন্তু মেলাটা যেন অন্য জায়গায় করা হয়। যেখানে নিরাপত্তা থাকবে। তাছাড়াও যানজট বা সাধাকণের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়ে, সেদিকেও নজর দেওয়ার আবেদন জানান তিনি। এপ্রসঙ্গে বারুইপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জানান, তিনি শুনেছেন এক মহিলা সেলফি তুলতে গিয়ে পড়ে যান। তবে মিলনমেলা কর্তৃপক্ষের আরও ভালভাবে এই জিনিসে নজর দেওয়া উচিত। তবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও এই নিয়ে মেলা কর্তৃপক্ষ কোন মন্তব্য করতে চাইনি।





