নামখানার আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট সেন্টার এই কাজ করছে। সুন্দরবনের মৌলেদের (মধু ও মোম সংগ্রহকারী পেশাদার ব্যক্তি বা সম্প্রদায়) ব্যবহার করা মুখোশ থেকে পুরুলিয়ার ছৌ নৃত্যের মুখোশ সবকিছুই তৈরি হচ্ছে এখানে। যা নিয়ে খুবই খুশি এই সেন্টারের প্রশিক্ষক শান্তনু দাস।
আরও পড়ুনঃ কৌশিকী অমাবস্যায় নিম্নচাপের প্রবল দুর্যোগ! বিপর্যস্ত উপকূলীয় এলাকা, জানুন আবহাওয়ার হালহকিকত
advertisement
একসময় এই মুখোশের আলাদা গুরুত্ব ছিল সুন্দরবন এলাকায়। মৌলেরা যখন জঙ্গলে মধু সংগ্রহে যেতেন, তখন বাঘের হাত থেকে রক্ষার জন্য মাথায় পরতেন মুখোশ। তাঁদের বিশ্বাস ছিল, বাঘ মানুষকে সামনে থেকে আক্রমণ করতে ভয় পায়, আর সেই বিশ্বাসেই বনজীবনে মুখোশ ছিল অপরিহার্য। অন্যদিকে, গ্রামীণ যাত্রাশিল্প ও পালাগানের নাট্যমঞ্চেও বিভিন্ন চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে এই মুখোশ ব্যবহার হত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই মুখোশ তৈরির শিল্প ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছিল। কারিগররা কাজ ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ সুন্দরবনের সৌন্দর্য চাপা পড়ছে ‘আবর্জনায়’! যত্রতত্র প্লাস্টিক… ম্যানগ্রোভে ঘেরা প্রকৃতির একি হাল!
সেই শিল্পকেই আবার বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন নামখানার কয়েকজন শিল্পী। তাঁরা শুধু যাত্রার মুখোশই নয়, বিখ্যাত ছৌ নাচের মুখোশও তৈরি করছেন। স্থানীয় মানুষজনও এই উদ্যোগে আনন্দিত। এ নিয়ে এলাকার এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, “আমাদের ছোটবেলায় যাত্রা বা পুজোর সময় মুখোশের কদর ছিল ভীষণ। এখনকার প্রজন্মকে সেই ঐতিহ্য আবার চোখে দেখাতে পারব ভেবে খুব ভাল লাগছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ নিয়ে শান্তনু দাস জানিয়েছেন, তাঁর ইচ্ছা এই মুখোশ তৈরির শিল্প আবার প্রাণ ফিরে পাক। এখন অনেকেই এই মুখোশ তৈরি শিখছে। যা খুবই ভাল লাগছে। এই কাজ শিখে ছাত্র-ছাত্রীরা উপার্জন করতেও পারবে।