সূত্রের খবর, এফবি ঝড় নামের ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক জলসীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে আটকে পড়েছিল। সেই সময়ে ওই ট্রলারের মালিককে ডেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছিল। অন্য মালিকদের একই ভাবে সাবধান করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। তারপরেও এফবি ঝড় এবং এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮ নামের দু’টি ট্রলার কেন জেনে বুঝেও আন্তর্জাতিক জলসীমানা পার করল, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। এদিকে ওই ট্রলারগুলির মৎস্যজীবীদের দাবি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেই এমনটা ঘটেছে। যদিও এই যুক্তি মানতে নারাজ অনেকেই।
advertisement
আরও পড়ুন: বকখালিতে লুকিয়ে বিপদ…! ছোট্ট ভুলেই হতে পারে মারাত্মক ঘটনা, ঘুরতে গেলে ভুলেও যাবেন না এই এলাকায়
এ নিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক জয় কৃষ্ণ হালদারের দাবি, বেশি পরিমাণে ইলিশ ধরার লোভে কিছু ট্রলার জেনে বুঝেই বাংলাদেশ সীমানায় দেশে ঢুকে পড়ে। প্রত্যেক বছরই এঁরা এই ঘটনা ঘটায়। তবে গুরুতর যে অভিযোগটি উঠছে তা হল, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে এরা বাংলাদেশ থেকে আত্মীয়-স্বজনদেরকে বেআইনি ভাবে এদেশে নিয়ে আসছে। যে কারণে কাকদ্বীপে অনেক বাংলাদেশি রয়েছে। আগেই বাংলাদেশের কোটা আন্দোলনের মুখ নিউটন দাসের কাকদ্বীপের ভোটার তালিকায় নাম থাকা নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল। যদিও পরে নির্বাচন কমিশন নিউটন দাসের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টির উপরে নজর রাখছেন। বাংলাদেশে আটক মোট ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীর সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ নিয়ে বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য তথা ট্রলার মালিক অভিজিৎ দাস বলেন, ‘আটক হওয়া ট্রলার দু’টি কাকদ্বীপের বিশেষ একটি মৎস্যজীবী সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত। আমরা বিষয়টি লিখিতভাবে রাজ্য প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাব। গোটা ঘটনার তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।’
এ নিয়ে সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘আটক ট্রলার দুটো কাকদ্বীপের। বঙ্গোপসাগরের যে জায়গাটা থেকে আমাদের দুটো ট্রলার ধরে নিয়ে গিয়েছে, সেই জায়গাটা আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে। ওখানে দুই দেশের মৎস্যজীবীরা মাছ ধরে। আগে এত কড়াকড়ি ছিল না। বর্তমানে ভারত বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি চলছে, সেজন্য ওরা অতি সক্রিয় হয়ে আমাদের ট্রলার-সহ মৎস্যজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়েছে।’ এই গুরুতর অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গোটা ঘটনার দিকে নজর রাখছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
নবাব মল্লিক