মুহূর্তের মধ্যে এই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। মুহূর্তের মধ্যে এলাকাবাসীরা ভিড় জমান ঘটনাস্থলে। এলাকাবাসীরা নর কঙ্কাল দেখে শনাক্ত করে এই নর কঙ্কাল গ্রামেরই এক যুবকের। দুর্গাপুজোর তিনদিন আগে থেকে এই যুবক নিখোঁজ ছিলেন। উদ্ধার হওয়া নর কঙ্কালের নাম পরিচয় জানা যায় অবশেষে। সৌভিক হালদার স্থানীয় গ্রামেরই বাসিন্দা। মূলত সৌভিকের পরিবারের লোকেরা সৌভিকের জামা কাপড় দেখে সনাক্ত করে। সৌভিক পেশায় দিনমজুর। সৌভিকের বাড়ি বকুলতলা থানার অন্তর্গত মায়া হাউরি গ্রাম পঞ্চায়েতের দাঁড়া গ্রামে। দুর্গা পুজোর তিন দিন আগে থেকেই নিখোঁজ ছিল সে।
advertisement
আরও পড়ুন : মিলবে প্রকৃতির অচেনা সৌন্দর্যের খোঁজ, হাতে চাঁদ পাবেন পর্যটকরা! নিয়ে আসুন পুরুলিয়া পর্যটন গাইড বুক
অবশেষে তার মৃতদেহ উদ্ধার। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে, নর কঙ্কালটি উদ্ধার করে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। সৌভিকের মৃত্যু কি কারণে হল তা তদন্ত শুরু করেছে জয়নগর থানার পুলিশ! যদিও সৌভিকের পরিবারের লোকজন কঙ্কালে পরিধান করা জামাকাপড় দেখে সৌভিক বলেই দাবি করেছে। কিন্তু জয়নগর থানার পুলিশ নর কঙ্কালটিকে উদ্ধার করে, ময়না তদন্তের পাশাপাশি মৃত এই যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে বারুইপুর এসডিপিও অভিষেক রঞ্জন জানান, ইতিমধ্যেই নর কঙ্কালটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ওই যুবকের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন : কর্মস্থলেই ‘ধুম’ জ্বর সেনা কর্মীর, চিকিৎসা করিয়েও লাভ হল না! রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ঘরে ফিরল জওয়ানের দেহ
যদিও স্থানীয় এক যুবকের পরিবার ওই মৃতদেহকে তাদেরই পরিবারের নিখোঁজ যুবকের বলে দাবি জানিয়েছে। আমরা সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছি। আপাতত উদ্ধার হয় নরকঙ্কালটি। আমরা অজ্ঞাত পরিচয় মেনেই তদন্ত শুরু করেছি। এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা শুকুর আলী মোল্লা বলেন, প্রতিদিনের মতনই প্রাতঃভ্রমণ করতে বেরিয়েছিলাম আমরা। সেই সময় ধানক্ষেত থেকে আমরা নরকঙ্কাল দেখতে পাই। এরপর তৈরি করি খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে নর কঙ্কালটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সৌভিকের দাদা কৌশিক হালদার জানান, এই মৃতদেহ আমার ভাই সৌভিকের। দুর্গাপুজোর তিনদিন আগে নিখোঁজ হয়ে যায় আমার ভাই। অবশেষে কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে। কঙ্কালের পরিধান করা জামা কাপড় দেখে আমরা চিনতে পেরেছি। সোমবার সকালে আমি ইটভাটায় কাজে গিয়েছিলাম। সেই সময় স্থানীয় বেশ কয়েকজন আমাদেরকে এই খবর জানায়। কি হয়েছে, তা আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। ওকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য এই ধান জমিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। স্বাভাবিক অর্থে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।






