দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন এখন মোয়ার গুণগত মান বজায় রাখা ও এর উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে। তাদের পরামর্শে জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের বহডু ক্ষেত্র, খাকুরদহ, রাজাপুর-করাবেগ চালতাবেড়িয়া এই ধরনের চাষ শুরু করেছে কৃষিবিভাগ। কনকচূড় ধানের চাষ মূলত হয় রায়দিঘির কাশীনগর, মন্দিরবাজারের লক্ষ্মীকান্তপুরে। মোয়ার মরশুম শুরুর আগে এসব এলাকা থেকে ধান নিয়ে গিয়ে তবেই মোয়া তৈরি শুরু হত। এতে খরচও যেমন বেশি পড়ত, তেমনই গুণগত মান বজায় রাখতে গিয়ে নানা সমস্যা হত।
advertisement
আরও পড়ুন: ডিম,পাউরুটি, দুধ, চিনি দিয়ে বাড়িতেই চটজলদি বানান ব্রেড পুডিং! রইল সহজ রেসিপি
আরও পড়ুন: ‘ধাপাস বল’ খেলেই লক্ষ টাকা পুরস্কার, বহরু মেতেছে এই খেলায়
ব্যবসায়ীরা জানান, মোয়ার গুণগত মান নির্ভর করে কনকচূড় ধানের উপর। বাজারে এই ধানের ঘাটতি থাকায় অনেক অসাধু ব্যবসায়ী অন্য ধানের খই দিয়ে মোয়া তৈরি করতেন। এর সমাধানে ব্লক কৃষিবিভাগ কনকচূড় ধানের চাষ প্রসারের উদ্যোগ নিয়েছিল। সুফলও মিলছে। তিন বিঘা জমিতে কনকচূড় ধান চাষ করা হয়েছিল। ভালই ফলন হয়েছে। ফলে এবার আর দূরে ধান কিনতে যেতে হবে না। কয়েক দিনের মধ্যে ধান তোলার কাজ শুরু হবে। এরপর সেই ধান রোদে ফেলে ও শিশিরে রেখে কড়াইয়ে তপ্ত বালিতে ভেজে খই হবে। সেই খই দিয়েই তৈরি হবে মোয়া।
সুমন সাহা