কৌতলার তেঁতুলতলার বাসিন্দা রমেশ হালদার ও সুকান্ত হালদার পরিবার নিয়ে মাস তিনেক আগে গুরগাঁওয়ে চলে যান। এখানে তার আগে অটো চালাতেন তিনি। অটো চালিয়ে সংসার চালাতে পারছিলেন না তাঁরা। ফলে বাইরে যান। সেখানে এমন বিপদে পড়বেন তাঁরা তা বুঝে উঠতে পারেননি।
advertisement
এদিকে তাঁদের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর প্রতিবেশীরা। এ নিয়ে রমেশ হালদারের ভাইপো বিকাশ হালদার জানিয়েছেন, আমাদের কাছে খবর এসেছে কাকা ও পরিবারের সকলে সেখানে আটকে রয়েছেন। আমরা চাই দ্রুত ফিরে আসুক তাঁরা। বাংলা বলার জন্য তাদের আটকে রাখা হয়েছে।
এই ঘটনা নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বরা। এ নিয়ে রায়দিঘির বিধায়কের নেতৃত্বে ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ির কাছে নবরদোকানে বিশাল মিছিল বের করা হয়। সেখান থেকে বিধায়ক জানান, “আগেও রায়দিঘি এলাকার নগেন্দ্রপুর ও নন্দকুমারপুরের কিছু পরিযায়ী শ্রমিককে বাংলা বলার অপরাধে ওড়িশায় আটক করা হয়। এবার হরিয়ানায় আটকে নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে ঘটনার কথা রায়দিঘি থানা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে জানানো হয়েছে।”
অভিযোগ সমস্ত কাগজ দেখানোর পরও তাঁদের ছাড়া হচ্ছে না। উলটে তাঁদের মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রভাব পড়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর। এই ঘটনার প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন রায়দিঘির তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বরা। এই ঘটনার জেরে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে সবরকমভাবে থাকা হবে বলে জানানো হয়েছে। থানা থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজ চলছে। ওই ব্যক্তিদের বাড়িতে ফিরিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় শঙ্কিত এলাকার মানুষজন।
নবাব মল্লিক






