গঙ্গাসাগরের বেগুয়াখালি এলাকা থেকে এই বালি তোলা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঠিকাদার সংস্থা প্রভাব খাটিয়ে বেগুয়াখালি মেটের খাল থেকে যথেচ্ছভাবে বালি কেটে মেলা প্রাঙ্গণের সি-বিচে ফেলছে। এই নিয়ে তাঁদের মূল উদ্বেগ হল, খালপাড় থেকে এভাবে বালি কাটলে পাশের আইলা বাঁধটি দুর্বল হয়ে ধসে যেতে পারে। এর ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় নোনা জল ঢুকে গোটা এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জয়নগরবাসীর দুর্ভোগের দিন শেষ! নববর্ষের আগে বিধায়কের ‘উপহার’ পেভার ব্লকের রাস্তা, জোরকদমে চলছে কাজ
স্থানীয়রা বালি কাটার এই কাজ বন্ধ করার দাবি তুললে বিষয়টি দ্রুত সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরার নজরে আসে। তিনি তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ করে পুলিশ প্রশাসনকে ঘটনাস্থলে পাঠান এবং অবিলম্বে বালি কাটার কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিরোধীদের অভিযোগ, এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট ‘অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে’ বালি কাটছে এবং এর পিছনে শাসকদলের নেতাদের মদত রয়েছে। তাঁরা কটাক্ষ করে বলেন, বাঁধ ভাঙলে সেই মেরামতির কোটি কোটি টাকা নেতা-আমলাদের পকেটে ঢুকবে। স্থানীয়দের পক্ষ থেকে এই বিতর্কিত বালি কাটার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই মাটি কাটা বন্ধ হলে তবেই সাগরদ্বীপ বাঁচবে বলে জানিয়েছেন তিনি।





