পড়াশোনায় বরাবরই মেধাবী শান্তনুবাবু। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রাণীবিজ্ঞানে মাস্টার্স ও ডক্টরেট করেন তিনি। এরপর পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণী উৎপাদন ও প্রতিপালন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসাবে কাজে যোগ দেন। আর এরপর শুরু হয় তাঁর আসল কাজ। পাঠ্যবইয়ের পড়াগুলিকে বাস্তবে রূপ দিতে শুরু হয় তার ব্যবহারিক প্রয়োগের কাজ। গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষজনকে বোঝানো। ছোট ছোট সভা করে, কীভাবে বিজ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ করে প্রাণীপালনে সাফল্য পাওয়া যাবে সে দিকটা দেখানো, এই সব কিছুই করছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: আলিপুর চিড়িয়াখানায় ৩০০ প্রাণীর গরমিল! বিতর্কের মাঝেই বড় পদক্ষেপ, জানেন কী করল কর্তৃপক্ষ
তাঁর নিজের গ্রাম দক্ষিণ ২৪ পরগনার চন্দনপিড়িতে কাজ করছেন তিনি। সুন্দরিকা নদীর পাড়ে মানুষকে নিত্য পরিবেশগত ও সামাজিক লড়াইয়ের মধ্যে সচেতন করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর এই কাজ সামাজিকভাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের খুবই উপকারে লাগছে। তাঁর গবেষণাপত্রে বেশিরভাগই মানুষের জীবনজীবিকা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিক তুলে ধরা হয়েছে। দেশ-বিদেশের জার্নালে তাঁর প্রায় ৫০টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে এবং বেশ কিছু বই তিনি লিখেছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রাণী উৎপাদন এবং প্রতিপালন বিভাগে তাঁর সাফল্যের জন্য তিনি ইতিমধ্যেই ‘টিচিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন। ভারত গৌরব পুরষ্কারও রয়েছে। এ নিয়ে স্বল্পভাষী ড.বেরার কথায়, এই পুরষ্কার তাঁকে প্রেরণা যোগাবে। কর্মসূত্রে বাইরে থাকতে হয়। তার মধ্যেও সময় পেলেই যতটা পারা যায় কাজ করেন। এই কাজ যে প্রান্তিক এলাকার মানুষের প্রাণী পালনে উৎসাহিত করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।