পেশায় কৃষক হলেও সপ্তাহে দু’দিন কলকাতার দু’টি কাপড়ের হাটে সেলসম্যানের কাজ করতে যান দুর্গাচরণ। কিন্তু তাঁর নেশা গ্রামের ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা শেখানো। ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামের ক্লাব ঘরেই চলত তাঁর পাঠশালা। কিন্তু দিনের পর দিন সেই ক্লাবের পাঠশালায় পড়ুয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
advertisement
দুর্গাচরণ লক্ষ্য করেন, ছেলে মেয়েরা মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে। কেউ গেম খেলছে তো কেউ রিলস দেখছে। তাই তাদেরকে আবার বইমুখী করতে উদ্যোগ নেন তিনি। মাসখানেক আগে ক্লাবের ছেলেদের সঙ্গে কথা বলে গ্রামের মাঠে বটগাছের নিচে নতুন করে শুরু করেন এই বর্ণপরিচয় কেন্দ্র।
আরও পড়ুনঃ ভাইরাল হতেই দাম বেড়ে দ্বিগুণ! বছর শেষের নয়া ট্রেন্ড ‘বানি ইয়ার মাফস’, মালামাল হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা
স্কুল, কলেজের বইপত্রের পাশাপাশি নানা ধরনের গল্পের বই, ঋষি মনীষীদের জীবনী, ধর্মগ্রন্থ সবই স্থান পেয়েছে সেই লাইব্রেরিতে। তবে এখানে বসেই পড়তে হবে বই। কোন বই বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে না বলে কঠোর নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশের ও বিশ্বের ম্যাপও রাখা হয়েছে এই পাঠাগারে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গ্রামের কচিকাঁচাদের একপ্রকার ধরে এনেই সেই গাছতলায় বই পড়াতে শুরু করেন তিনি। তবে মাত্র কয়েকদিনেই তাঁর উদ্যোগ সফল হয়েছে। শুধুমাত্র শিশুরা নয়, গ্রামের বহু কিশোর, কিশোরী এমনকি বয়স্ক মানুষজনও এই বর্ণ পরিচয় কেন্দ্রে বই পড়তে আসতে শুরু করেছেন। এখন প্রতিদিন দু’বেলাই বই পড়ার জন্য আবাল বৃদ্ধ বনিতা আসতে শুরু করেছেন দুর্গাচরণের বর্ণ পরিচয় কেন্দ্রে।





